প্রেমের উদ্দাম কালবৈশাখী ঝড়ের কলম।
১. মেকি সভ্যতা।
তোমার উলঙ্গ রূপেই আমার শ্যামলবর্ণ দেহে
একগাছি চুলের মত সরু সোনালি নদী বয়
কবিতারা রোজ স্নান করে
আর তুমি অবগাহন করো আমার সত্ত্বার ভিতর...
উর্বর ঊষসীর উষ্ণ আলিঙ্গন বিভাজিকাময় কামড়ে ধরা শরীর শিহরণে রক্ত তঞ্চন।
তোমার উলঙ্গ রূপেই আমার স্রোতস্বিনী প্রেম
প্লাবিত করে মনোভূমি
মজে যাওয়া গতিপথে তোমার পেলব স্পর্শ
আমার লাম্পট্যকে ঢেকে রাখে।
নগ্ন শরীর নদীতে রোজ ডুব-
চোরাপথে, শিকারির দল তৃপ্তির সাঁতার কাটে
তারপর-
সভ্যতার পোশাকে,মুখোশের আবরণ
অসভ্যেরাও সভ্য হয়ে ওঠে।
তোমার ওই মেকি পোশাকটা, খুলে ফেলো
তোমার শরীর বেদীর প্রত্যেকটি আঁচড়
দেখুক, লজ্জাহীন এ পৃথিবী
তুমি কি জানো না?
এক একটা পোশাক , এক একটা অসভ্যকে ঢেকে রাখে...
২. তোমাকে লেখার মত কোনো কবিতা নেই
তোমাকে লেখার মত কোনো কবিতা নেই
ভ্রূপল্লবের ইশারা, কেয়ারি করা চুলে হাওয়ার নাচ
এসব কবিতায় দেখানো যায় না
আমি যা দেখি তাই লিখি
যা লিখি তা দেখাতে পারি না
প্রতিটি নিঃসীম অন্ধকারে কবিতা জানু পেতে বসে
আলোর মুহূর্তে তুমি সেই অন্ধকার
যেখানে ক্ষীণ হয়ে আসে দৃষ্টিপ্রপাত
খুব কাছেই একটা অরণ্য,
কোলাহল চিরে নদী হয়ে উঠছে
আমরা একজোড়া হরিণ হবার স্বপ্ন দেখেছিলাম
একজোড়া পিঠোপিঠি রোদ্দুর
আমরা একসাথে নদীতে সাঁতারের কথা ভেবেছি
উপেক্ষার মত ভয়ানক স্রোত আর কি আছে?
ক্লান্ত এই অবগাহন...
স্পর্শের লেফাফা খুলে বুঝেছি
তুমি দূরত্ব বেশি ভালবাসো...
৩. বাসবদত্তার কাছে
আলো নিভে গেলে শূন্যতার স্টেথোস্কোপে
পাঁজরের ঝাঁপতাল
অনেক প্যাঁচ পয়জার কষে ব্রহ্মান্ড সৃষ্টির মূহুর্তে
তুমিই ইভ আর ইভনিংয়ের দ্যোতনা
সেই তো ফিরে এলে বাসবদত্তা মানুষের গন্ধরাজ রুমালের ভাঁজে
মেঘ- রোদের এলাটিং বেলাটিং...
নাভিজল জুড়ে পরকীয়া ঢেউ
আজও সিঁদুরের রাস্তা ধরে সিঁথি হেঁটে যায়।
অখন্ড দেহতত্ত্বের উঠোনে
সমস্ত পুরুষ আজ তোমার দেহে রজঃস্বলা ঘর বাড়ি...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন