হ্লাদিনী ক্ষনিকের পশলা প্রেমের আঙ্গিকে।
১. সংস্পর্শ
––––
চৈত্রের শানিত চোখ খোঁজে স্ফুর্তি
গর্ভাঙ্গে মোচর দেয় অলিক শিখা।
তপ্ত উল্লাস পেতে চায় 'ঘাম ভেজা গন্ধ'
লাজুক ক্রোধ ঘোমটা খুলে-
মাখে হ্লাদিনী শুণ্য বেডরুম।
আতকিয়ে ওঠে লোমকূপ গ্রন্থি
বাধানো সংযম,কেরে নেয় লবন বিন্দু।
এবার তবে ম্লান হোক্
আলুথালু চুলের কাতর চাহুনি।
শৈলগুঞ্জ বল্কল এলিয়ে ছুয়ে যায়;
কোমর ভরা ঐস্বর্গিক দুটো হাত
রক্ত মাখে,তৃষ্ণা জমাট বাঁধেনি তখনও।
একটু একটু করে জমে উল্কা থেতু
জাতক থিয়েটালেন্স চুপিসারে,
ঠোঁটে চায়-লিপস্টিক।
জানু লুফে দেয় কুমারি সোহাগ
স্ফিত অভিমান চোখ ছুয়ে থাক;
হাতের ফাঁকে ভরাট,নরম আঙ্গুলের আচ।
দৈব্যবাণী নষ্ট করে দিক;
চাঁদের আলোর নেশা মগ্নতা।
উদ্-গ্রীব নস্টালজিয়া কাতর কন্ঠে
কানে কানে ছুয়ে যাক্ বিষাক্ত দীর্ঘশ্বাস।
পাজর ডিঙ্গিয়ে ইশারা ডুবে যাক্
ক্লান্ত ছায়া,তৃষ্ণামোহিনীর তেজে।
-----------------------------------
২. সম্মোহন
——————
তোর রাগি পশলা মিলিয়ে
আমার ছন্নছাড়া আঙ্গুল দুলিয়ে ধর।
পলাশ-ডিঙা নোভেলি চাইছে
মৌনবিতান ছুয়ে দে শিরায় শিরায়।
শেফালি হুকে ঝুলে রাখা লাজ
মেলে দে ওড়নার দস্যিপনা
ভাবি সন্ধ্যার হাতে তুলে দে
আমার কুলিক সম্মোহন ।
গোলাপি বুকে চুলের ডগা আঁকে
অভিমানি ছায়া।
আমায় স্পর্শ করে সোহাগি লতা;
মোমপ্লেটে আসে নি তখনও সহবাস
ভেঙে ধরছে কাছে পাবার আচল।
ইঙ্গিতের হাতছানি পেতে পেতে-
হয়তো,মিলিয়ে যাবে জ্যোৎস্নার গতিক।
অচেনা ঘৃনা আলাপ করে
ছাটানো সম্পর্কের ব্যালকনি ঘেষে।
ছায়ায় ছায়া রেখে,লুটোপুটি খায়
দীর্ঘশ্বাস, মিলিত সহাঙ্গে
তৃষ্ণার চৌকাঠে ঝরে মান-অভিমান।
রক্তাভ গালে ফেরে শুষ্ক-ঠোঁট
এলানো টিপ খসে
পরে থাকে আমার অতল স্পর্শ
তোর পাশে রাখা টিউবলেট জুড়ে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন