রবিবার, ২৭ মে, ২০১৮

জয়দেব মহান্তর কবিতা।




হ্লাদিনী ক্ষনিকের পশলা প্রেমের আঙ্গিকে।


১. সংস্পর্শ

         ––––

চৈত্রের শানিত চোখ খোঁজে স্ফুর্তি

গর্ভাঙ্গে মোচর দেয় অলিক শিখা।

তপ্ত উল্লাস পেতে চায় 'ঘাম ভেজা গন্ধ'

লাজুক ক্রোধ ঘোমটা খুলে-

মাখে হ্লাদিনী শুণ্য বেডরুম।

আতকিয়ে ওঠে লোমকূপ গ্রন্থি

বাধানো সংযম,কেরে নেয় লবন বিন্দু।


এবার তবে ম্লান হোক্

আলুথালু চুলের কাতর চাহুনি।

শৈলগুঞ্জ বল্কল এলিয়ে ছুয়ে যায়;

কোমর ভরা ঐস্বর্গিক দুটো হাত

রক্ত মাখে,তৃষ্ণা জমাট বাঁধেনি তখনও।

একটু একটু করে জমে উল্কা থেতু

জাতক থিয়েটালেন্স চুপিসারে,

ঠোঁটে চায়-লিপস্টিক।

জানু লুফে দেয় কুমারি সোহাগ

স্ফিত অভিমান চোখ ছুয়ে থাক;

হাতের ফাঁকে ভরাট,নরম আঙ্গুলের আচ।

দৈব্যবাণী নষ্ট করে দিক;

চাঁদের আলোর নেশা মগ্নতা।

উদ্-গ্রীব নস্টালজিয়া কাতর কন্ঠে

কানে কানে ছুয়ে যাক্ বিষাক্ত দীর্ঘশ্বাস।

পাজর ডিঙ্গিয়ে ইশারা ডুবে যাক্

ক্লান্ত ছায়া,তৃষ্ণামোহিনীর তেজে।

-----------------------------------



      ২.  সম্মোহন

     ——————

তোর রাগি পশলা মিলিয়ে

আমার ছন্নছাড়া আঙ্গুল দুলিয়ে ধর।

পলাশ-ডিঙা নোভেলি চাইছে

মৌনবিতান ছুয়ে দে শিরায় শিরায়।

শেফালি হুকে ঝুলে রাখা লাজ

মেলে দে ওড়নার দস্যিপনা

ভাবি সন্ধ্যার হাতে তুলে দে

আমার কুলিক সম্মোহন ।

গোলাপি বুকে চুলের ডগা আঁকে

অভিমানি ছায়া।

আমায় স্পর্শ করে সোহাগি লতা;

মোমপ্লেটে আসে নি তখনও সহবাস

ভেঙে ধরছে কাছে পাবার আচল।

ইঙ্গিতের হাতছানি পেতে পেতে-

হয়তো,মিলিয়ে যাবে জ্যোৎস্নার গতিক।

অচেনা ঘৃনা আলাপ করে

ছাটানো সম্পর্কের ব্যালকনি ঘেষে।

ছায়ায় ছায়া রেখে,লুটোপুটি খায়

দীর্ঘশ্বাস, মিলিত সহাঙ্গে

তৃষ্ণার চৌকাঠে ঝরে মান-অভিমান।

রক্তাভ গালে ফেরে শুষ্ক-ঠোঁট

এলানো টিপ খসে

পরে থাকে আমার অতল স্পর্শ

তোর পাশে রাখা টিউবলেট জুড়ে।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন