ভাঙাচোরা শব্দসাঁকোর প্রেম আঙ্গিকে কলম।
১. স্বপ্ন থেকে ফিরে : গাছ অর্থে পাগল
আজ অ্যাকটা কবিতার অনুষ্ঠান হয়ে গেলো মধ্য ঘুমের ঘরে
ঠিক মোটরবাইকের আয়নায় বসে পেছন রাস্তা দ্যাখার মতো
ক্লিভেজ পড়ানো সন্ধ্যেব্যালায় অ্যাক ব্যাগ সাঁতার খাবার পর
ফিরে আসো বাঁশফুল রাডার তোলো হাতে হাতে রাত হয়ে যা।
এলিজির দেয়াল প্লাস্টার করেও আরো কিছু ঘরবাড়ি তুলো
দিয়ে আমরা হাত ধুয়ে নেবো।
স্টেশনান্তরে ধর্ম কুড়াবো ভিন্ন তারপর সঙ্গীতে কাল আমরা দুজন ট্রাক হয়ে যাবো সযত্নে।
গাছ অর্থে পাগল অ্যামন অভিসন্ধি আমাদের ছিল না বাঞ্ছায়।
তবু ক্যামন করে বায়োলজিক্যাল পোয়েম লেখার সময় হলে
গাছ আর যোনি আগে চলে আসে তারপর শুধু শান্তি - সঙ্গম।
গাছ আর গাছ থাকে না হয়ে ওঠে অ্যাক্রোপলিস পাতার স্টু।
বেরঙিন চোখে বছর পাল্টে পাল্টে বন্ধ্যা শরীরে সেফটিপিন বিছিয়ে দিয়েছি অ্যাখন।
পোস্টম্যান খোঁজার দায়টাও হিংস্রলু বা ওই পর্বেরই কোনো ফ্লোরা যারা নাইট্রোজেন স্থিতিকারী ছেঁড়া সাইটোপ্লাজম।
বালতি, তুলি আর বাম হাতে আমলকী
শরীরে একটি একটি করে দ্রাঘিমার টানে পৃথিবী বেড়ে যায়।
উটপাখি গল্পের ছাদে চিড়িয়াখানার জাল লিখে আসে রোজ
জানলায়।
আকাশ আকাশে লুদ্ধক ছাতিম পাতার শ্বাস মেখে
গিঁথে যাওয়া থেকে গ্রন্থ জন্মলাভ।
শেষাবধি প্রশ্রয় পায় পেয়ে স্বপ্ন থেকে ফিরে আসে গাছ চোখমুখ ধোয় জল খায় উন্মাদ।
________________________
২. এবার সূর্যের পালা।
মরে যাও সুন্দরী তোমাকে আর সুন্দর দেখতে চাই না
যাও সারা গায়ে উল্কা মেখে এসো.......
মেট্রো থেকে নেমে রাজপথে, মোহনায় এসে দাঁড়াও!
খাঁড়া পায়ে লাথি মার নপুংসক সিস্টেমের পাছায়, মুখে
ফোরস্কিন কেটে চচ্চড়ি বানা সমাজশালার কপালে
টিকিদাড়িটুপিমালা ভেড়ুয়াগুলোকে গিলোটিনে চড়া
নষ্টা
ভ্রষ্টা
হতচ্ছাড়ী যা মন চায় হয়ে যা;
জ্বালিয়ে দে নদীমাতৃক সখ্যতা....
জরায়ু থেকে বেড়িয়ে আসুক সূর্যের ঔরস
সংযোজন বিয়োজনে গেলো গেলো রব তুলে গলা
শুকিয়ে মরুক বুদ্ধিজীবি নেতামন্ত্রীর দল
তবু নির্ভয়া আসিফা হোস্ না,
উনুনের মুখে মুখ থুবড়ে থাকা তাপসী মালিক হোস্ না
হতে হয় দাবানল হয়ে যা, নিদেনপক্ষে উনুন কিংবা
বিউটেন এলপিজি....... .....
কবিদের বল চাঁদের দিন শেষ, এবার সূর্যের পালা
ওরা কিছু ঘাম ছিঁড়ে রাখুক ঝুড়িতে,
বড্ডো ক্লান্ত দেশ এটা!
________________________
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন