প্রতিসরাঙ্কে তোমার প্রেমের ছায়াপথ আঙ্গিকে কলম।
১. ছায়া মলাট
খোপবন্দী শহর সাজিয়েছি চোখের বাইপাসে।
ঠোঁটের কোষে জীবাশ্ম হওয়া প্রেম
বিগত বসন্তের এপিটাফ গড়ে নিঃসাড়ে,
বলব বলব করেও বলা হয়নি-
সে কথার স্তূপ ইদানীং পাঁজরে নীল সন্ধ্যে নামায়।
ডায়রীর ওমে মূহুর্তেরা মৌখিক হয়ে ওঠে, দুরন্ত!
একটু করে জমানো সৌখিন আঘাতেরা
দুপুর জানালায় পড়শি হয়েছে
যখন রোদ নিভে আসে ঝড়ের মেঘ মেখে।
আজ, মুঠোফোনে নয়-
ডাকটিকিটেই লিখলাম তোকে,
'এখনই সত্যি করে ভালো আছি জানিস....
.....অনেক বিষাদের মাঝে।'
২. ইতি উহ্য ১৭
অমানিশির দোয়াতে কলম ডুবিয়েছি,
একটু অপেক্ষা ......আর
এক নিব জোছনা উঠে আসবে।
তারারন্ধ্রে ঢালছ সম্মোহনের নিকোটিন,
আমি তুমিগ্রস্থ হয়ে পড়ছি .... ক্রমশই।
নাও, এভাবেই লেখা শুরু কর গল্পটা
সন্ধ্যামণির ঠোঁটে জমাট রহস্য এবং.......
ঘোর কাটে বৈদেশিক রিংটোনে।
বালিশের ফাঁকে এক পৃথিবী দূরত্ব
ইনফিনিটিভ সাংখ্যমান।
তাকিয়ে দেখি
অভিযোজিত দৃষ্টি
আঙুলের পায়চারি। তোমার আন্তর্জালিক নাগরিকত্ব
।।
বেলজিয়াম কাঁচের প্রতিসরাঙ্কে ঐ কোজাগরী চাঁদ।
কী আশ্চর্য!
আমার আকাশটা আজকেই সবচেয়ে বেশি কালো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন