অভিনব উপপাদ্যের আঙ্গিকে প্রেমের কলম।
১. কবিতা: শুক্রানুদের সংসার।
শ্রেণীসংগ্রামে কয়েকশো ডিম্বাণু - শুক্রাণুর মৃত্যুর পর ,
অসীম গর্বে ,বিজয় উত্সব করতে করতে দুটি হাত
এক হয়ে ক্রমে আরও ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করে !বাঁধে সুখী গৃহকোণ;
সৃষ্টি হয় আপাত ঘুমন্ত স্বপ্ন- মাতৃ জঠরের নরম শয্যায় !
নাটোরের বনলতার সাথে হাঁটতে হাঁটতে একে একে
তারা এগিয়ে চলেছে - আরও এক উদ্যেশ্যে !
সকলে যে সকলের মত এক হবে তার কোন
অর্থ না থাকলেও , প্রাগৈতিহাসের দেহজ সংসারেরা
একই ভাবে রচনা করে সৃষ্টির অনিন্দ গভীর উল্লাস !
উষ্ণ জলে নড়বড়ে ওঠানামা নরম মাংসপিন্ডে ,
ক্রমান্বয়ে চাপে ধর্ম-অধর্মের অভেদ্য বস্ত্র বর্মের মত !
শুধু ভাবি , শুক্র আর কুসুমের - ধর্মটা ঠিক কি ছিল ?
২. কবিতা: প্ল্যাসেন্টা।
ভালোবাসি বলে যে ঘৃণাগুলো প্রতিনিয়ত
এলোকেশের মত উড়ন্ত হাওয়ায় পড়ন্ত
গোধূলিতে এলোমেলো থাকে , সূর্যের
আপাত শেষ রশ্মির মত খেড়ো নদীর গহ্বরে
কুণ্ডলী পাকানো প্ল্যাসেন্টা আর ঠিক তারই
নান্দনিক লয়ে অবহেলাদের বিলি কেটে কেটে
কবরী বেঁধে দেই । পাশে সজ্জিত থাকে অবহেলা ।
হয়তো এইভাবেই জরায়ুর অকাল কান্না আর --
গোলাপ লাল রক্তে ক্ষরণ হয় অব্যক্ত থাকবে
কিছু যন্ত্রনাদের নিশ্চুপ অভিলাষ । তবুও দেখি ,
কত দগ্ধ হয় এমন ভাবেই হৃদয় । ক্রমে ,
ঘূর্ণিঝড়ের শেষ দাপটে উপড়ে পরে বনস্পতিদের
সংসার অথবা ,মাথা নুইয়ে থাকে গুল্মের কলোনী ।
সেই মত ভালোবাসাদের দীনতা রেখে যাবে
হয়তো , প্রতিদিনের মুখোশ পরা প্রেমের দিবস ॥
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন