উদ্দাম যৌবনের শিহরনের আঙ্গিকে প্রেমের লেখনী।
তৃষ্ণা বুকে
-মঞ্জুরুল হক তারা
-
শুয়ে আছে বিছানায় সম্মুখে উন্মুক্ত খাতা
যুবতীর উপুড় শরীর কিছুটা উপরে মাথা।
একটুকু ফাঁক করা ভাঁজ করা পা দু'টি
খাটের উপরে নিবিড়ে দোলছে,
গরম বুকের নিচে নরম তুলার বালিশটি
দীর্ঘ শ্বাস-প্রশ্বাসে ক্ষণে ক্ষণে ফোলছে।
,
পিঠে চুমে ভেজা চুল সাগরের মত ঢেউ
ছায়াময় ঘর আশেপাশে নাই তার কেউ।
প্রেমের গল্প পড়ায় মগ্ন পেট,নাভি,নগ্ন নারী
জড়ো হয়ে আছে শাড়ি কোমরের নিচে,
নদীর অস্থির জলকণা খোঁজে নিবিড় রৌদ্রকণা
সুখ-নীড় স্বপ্ন বুকে গভীর সাগর চোখে অশ্রু আছে।
,
রাতের স্তব্ধতা ভাঙ্গে নিশাচর ডানা ঝাপটায়
ঊকি দেয় জ্যোৎস্নায় উত্তরের জানালার পর্দায়।
উর্বর উপত্যকায় সতেজ পাতায় সাধ জাগে
জাহাজ ভাসায় দূর সাগরের নীল জলে,
নিরুদ্দেশের পথে স্নিগ্ধ জ্যোতি নিভৃতে দোলে
স্বপ্নের প্রদীপ জ্বেলে স্বপ্ন দ্বীপে যায় চলে।
,
গভীর রাত পাশ ফেরায় তৃষিত মুখখানি
মাটিতে লুটে আছে তার শাড়ি আধখানি।
নির্জন অরণ্যের একাকিত্ব ব্যাকুল
অস্থির গুঞ্জরণ সর্ব-অঙ্গে শিহরণ,
ঝড়ের হাওয়ায় নড়ে চেনা আঙ্গুল
ঢেউ খেলে তনু-মন অলৌকিক ক্ষণ।
বিছানার চাদর জড়ায়ে গায়ে
খোঁজে বেড়ায় গড়ায় গড়ায়ে।
প্রেম ভালোবাসার অন্তরালে
সঙ্গিহীন রাত হাহাকার করে উঠে,
শাড়ির জানালায় পর্দা খোলে
দেখা দাও দেখা দাও চিৎকারে গগন ফাটে।
সুখের খোঁজে
-
নির্জন তপোবনে পর্ণকুঠিরে ধ্যানে মগ্ন
ঋষি মণি, অনন্ত সুখের খোঁজে
দিবা রাত যায় - তপ,জপ,পূজায়।
রূপসী রমণী রমনের অতৃপ্ত কামনায়
যৌবন ভরা দেহ দহনে, অস্থির যন্ত্রনায়
একা নির্জনে অশ্রু সিক্ত কুঠিরে বালা।
প্রত্যহ ভোরে এই পথ ধরে গুরু ভক্ত,
শিষ্য যায় পূজার অর্ঘ লাগি।
যৌবন দহনে জ্বলছে গুরু পত্নি
উত্তাল জাহ্নবী যমুনায়
চপল কোমল পল্লব দেহ দোলে অস্থির যন্ত্রনায়
" সমাজ ধর্ম নীতি বাক্য " পদ দলিত করে
রূপসী পথ রুদ্ধ করে,
জড়িয়ে ধরে পথ চারী সুদর্শন যুবার,
চকিত সোম, গুরু ভক্ত হতবাক
ভু- লুন্ঠিত অর্ঘ পুষ্পদল
চন্দ্রদেহে যৌনশিহরণ মৃদু কম্পন চঞ্চল
বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারে
জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গনে
চুম্বন সঙ্গমে তৃপ্ত অপুর্ব মিলনে
সুখের বন্যা বহে তপবনে।
খুব সুন্দর। আরো পড়ার আকাঙ্ক্ষা রইল।
উত্তরমুছুনসুন্দর ।
উত্তরমুছুনগভীরতা থরে থরে অনুভূত
উত্তরমুছুন