শৈশব মনের নির্ভেজাল স্পর্শের আঙ্গিকে কলম,,,,
কবিতা: শুক্রচোখে চাঁদভাসি।
শাঁখ বাজা সন্ধ্যায়
জোনাকীমুখের স্বপ্ন দেখে ঘুমপাপড়ি
সূর্যডোবা চাঁদ
আড়াল করে বনঝাউ
কঙ্কালতন্ত্রের অস্থিমজ্জা
ঝিনুকের পৃষ্ঠটান
ধিতাং ধিতাং মাদল বাজছে
মহুয়ার গায়ে ঘামের আতর
বিপ্রতীপ কোনে কোনে দুলছে
পায়ের নুপুর রোদচিকচিকে গাল
দ্রাঘিমায় ঢলে পড়ে
ফুটফুটে কোমর জোছনা
অক্ষাংশ কাঁপছে
ছায়াআলো পাপড়িজল
ভাঙামেঘ বৃষ্টি
হাঁড়িয়ার নাচ
এখন থামা যাবে না
পিয়াসীর চোখ মাসকারা
কৃষ্ণচূড়ার বুকে গভীর নিম্নচাপ।
কবিতা: হারিয়ে যায়নি শৈশবসন্ধ্যা।
খোলা মাঠের মতো বাড়ির উঠানেও সন্ধ্যা নামে।
আবছা হয়ে আসে সবকিছু।
তুলুসি মন্দিরে জ্বলে উঠে রাত্রির প্রথম আলো।
উল্লসিত শাঁখের আওয়াজ...
একটি দিনের সমাপ্তি ঘোষণা করে।
ঝিঁঝির ডাক বাতাসে মেশে।
সব জায়গায় একটা গা ছমছমে ভাব।
বাড়ির কচি কাঁচারাও স্লেট পেনসিল নিয়ে
বসে পরে উঠানে পড়ে থাকা মাদুরটার উপর।
সামনে হ্যারিকেন টা দপ দপ করে জ্বলতে থাকে।
বর্ণপরিচয়ের অ এ অজগর সজীব হওয়ার চেষ্টা করে।
অন্ধকারে লুকিয়ে থাকা পতঙ্গগুলোও আলো খোঁজে ।
চারদিক থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসে।
মায়ের হাতের তালপাতার পাখাটা সজোরে মাথার উপর ঘুরতে থাকে।
আর ইঁদুর ছানা ঈগল পাখির ভয়ে মরতে থাকে।
কবিতা: মেঘমল্লার।
প্রেম হাসছে
হাটে বাজারে শপিং মলে
ভালোবাসার অভিযোজন প্রেম প্রেম খেলা
প্রেম কাঁদছে
দুপুর বেলা বাড়ির এক কোন
আবেশে ধোঁয়া ধোঁয়া নেশা
কোনো নিষিদ্ধ শহর
কাছে ডেকে নেয় আদর করে
একটা গোলক ধাঁধা
যদি মন্ত্র জানো
নিশ্চিন্তে ঢুকে পরো কাঠ গোলাপ
অথবা না
দূর থেকে দেখো অজানা প্রত্যুষ
কোনো মেঘমল্লার দেশ
অথিত পাখির বাড়ি সাইবেরিয়া
পিনটেল এর ঝাঁক ভাবজমায় মতিঝিল
কখনো ফেরার রাস্তা ভেবেছো কি?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন