কবিতা: গোলাপ প্রিয়তমা।
নাম: সুপ্রীতি বর্মন।
হে অপরূপ রজঃস্বলা কামাগ্নির রসস্রোতে
কি হেন রয়েছে অমৃতসুধাভোগ পদ্মবৃন্তে
মদনের তীক্ষ্ণ বাণের পরশে উন্মিল কোজাগরী শশীর অর্ধউন্মুক্ত খাঁজকাটা বৃন্ত উন্মুখ ক্ষীরোদ সাগরে
চোঁ চোঁ ক্ষুধার অনশনে হাতড়ায় বন্ধ্যা দু বিঘা জমিন।
প্রাক্তন চারদেওয়ালের হা করা ঋণ পলেস্তারার প্রেম ঝুরো ঝুরো খোলস উন্মোচনে নিরাভরন তিলোত্তমার আবরন পেটিকোট ষষ্ঠীর বোধন
পায়ের তলায় হুমড়ি খেয়ে পরম নৈষ্ঠিক প্রেমের মহলা।
কটিদেশ জড়িয়ে আশ্লেষে স্নিগ্ধ খরস্রোতার দূর্বার শঙ্খনাদে আরোহন আরাবল্লীর বল্কল উঁচু চূড়া।
নাভিতটে ঘুসঘুস প্রেমের যোগনিদ্রা
রিখটার স্কেলে উষ্ণিক তাকত ভূকম্পনের শৈলরেখায় ঊমার জাগ্রত আঁখি
চুম্বনে ভ্রূপল্লব সংযমী পুরুষকথা অন্ধ সুড়ঙ্গে অকপট প্রবেশ সাহসী স্পর্ধায় কামাক্ষ্যা যোনি প্রসিদ্ধি বীতশ্রদ্ধ
অশোকের কলিঙ্গ জয়।
মৌসিনরামে পিচ্ছিল বর্ষনে অবগাহনে নগ্ন ধরাশায়ী সৈকত ইচ্ছামৃত্যুর বিষে সলিল সমাধি স্রোতের কৈশোর প্রেমিক দন্ডে।
প্রস্ফুটিত লাজে রাঙা টুকটুক গোলাপ
তোমার আঙ্গিক বিশ্লেষনে ছাড়ানো পত্রে পত্রে গুমোড় সৌন্দর্যের কামড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে অঙ্গ পাপড়ির শিকড় ছড়িয়ে মাটিতে গ্রন্থিমূল।
নিরাবরন নগ্ন তনুর কায়াপলট মৃদু উষ্ণ অঙ্গুলীর ছোঁয়াচে লজ্জাবতী পাতার নাচন বজ্রদন্ডে সিংহী কেশরে অস্থির উন্মাদনার অক্ষি প্লাবন।
ডুবে অপমৃত্যু শূন্য গহ্বরে বাসা চাতক সুন্দরী।
উত্থিত খুঁটির গোঁজে দুগ্ধবৎসল গাভীর কন্টকময় আবেশে দুর্বার চাদর
দূর্বলতায় শীৎকার কুয়াশার স্নান।
পুরুষালী সমুদ্রে হাড়ভাঙা গর্জন ফেনিল বীর্যে মহাপ্রলয় নোঙ্গরে ছাপোষা বৈতরিনীর সংসারে হেঁচকা টান ফোঁটায় ফোঁটায় প্রনয়ীর নষ্ট নীড়ের হুংকার প্রত্যাবর্তন আড়িমারি দীর্ঘশ্বাস কার্ণিশে ঘরকুণো চাতাল।
কেশরে অঙ্গুলীর নাড়াচাড়া চুম্বকীয় ঘর্ষণে অতলে উত্থিত যৌবন রাখঢাক
পরাভূত উদ্বায়ী পরাগরেণু।
পেন্ডুলামের দোদুল্যমান দন্ডে হস্তে পরিমেয় সময় মৈথুনস্রোতে ইচ্ছার গলনাঙ্ক বরফে জমাট তঞ্চন
মানসচক্ষে গোলাপ সুন্দরী অন্ধ হ্রদে ডুবে ডুবে মরি আমি অপোগন্ড অর্বাচীন কান্ডারী খুচরো আধুলীর স্তনকৌটোর সঞ্চয়ের শোকে।
বৃন্তের কন্টকের ঘামে হাঁকডাক প্রনয়ীর অর্ধোস্ফুট প্রসব কুসুম ভ্রূনজাত পৌরুষের অঙ্গীকারে।
গোলাপ সুন্দরী আহ্লাদে গটমট ফুটে উঠো অলৌকিক জীয়ন কাঠি দুগ্ধবৎসল বজ্রদন্ডে।
দারুন
উত্তরমুছুন