সোমবার, ৪ জুন, ২০১৮

কৃষ্ণেন্দু দাস ঠাকুরের কবিতা।


ভিন্নধর্মী চিন্তনে প্রেমালাপ আঙ্গিকে কলম।


১. গজানো সে প্রথম মুকুলে
কৃষ্ণেন্দু দাসঠাকুর

খোলা লোমশ বুকের উপর বর্ণপরিচয়
কালারফুল জার্নির লং এপিসোড
মাথার মধ্যে গজানো বটের ঝুড়ি ক্রমশ
চোখের ঢাকনা খুলে নিন্মগামী
ভিক্টোরিয়ায় হাওয়া খেতে গিয়ে--
কমলালেবুর কোঁয়া চুষে ফেলার দিন শেষ
দুটো নরম তুলতুলে বেড়ালছানা,হাওয়ার মধ্যে ঢুকে---
হাত...।বুকের...।মুখে...
ঘড়ির কাঁটাটা বড্ড দ্রুত ঘুড়ছে
নিস্তব্ধ চারপাশ।সারা ঘরে লু খেলা করে
একটা...একটা...একটা।না...আর না...।ব্যাস

আজ আর সন্ধ্যে নই।...রাত
এক গাছের শিকড় আর একটা শিকড়ের
ভেতর ক্রমশ চালান হয়ে যাচ্ছে
ঢুকে যাচ্ছে মাটির গভীর থেকে গভীরে রাত বাড়ছে

হঠাৎ বাঁধ ভাঙা তীব্র জলোচ্ছ্বাসে বিছানা...

                     ----০০----


২. লালরঙের গুটিটা
কৃষ্ণেন্দু দাসঠাকুর

স্যারের সেই হাতের যাদু
অনায়াসে স্ট্রাইকারকে স্পিন করে
রেডগুটিকে নিজের কোলের কাছে নিয়ে
গর্তের দিকে আস্তে করে ঠেলে দিত

উনার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলাম আমিও
খেলা শিখিয়েছিলেন হাতে ধরে
ঠিক পিছনে দাঁড়াতেন থুতনিটা কাঁধে
পেছনের ঢিবিতে সেটে যেত গোপনীয়তা

সেদিন বোর্ডের কিস্তিমাত করতেই হবে
আমার হাতের উপর স্যারের পুরুষ্টু হাত
অপর হাত একবার আমার চওড়া অংশে
কখনোবা আমার নরম দেহজ সম্পদে
নামছে আবার নিচে; স্যার বোর্ডের সামনে
আমি পিছনে,খেলা চলছে, জিতেও গেছি

এবার মুখোমুখি, হুকে আঁটকে পাখিটা
তিরতির করে কাঁপছে, লাল রঙের সে
দ্বীপ দুটো কালো রঙের পাড়ের সাথে
ঘামে শুষে বের হতে চাই,আজ খোলা আকাশ, নির্বিকার ষোল বছর, শিৎকার

উপরে লোমশ চওড়া বুকের আশ্বাস
নিচের কারখানায় হাপরের ওঠানামা

1 টি মন্তব্য: