কবিতাগুচ্ছ:
বিশ্লেষনী রজঃগুনে পুরুষালী জাফরানি
প্রেমের আঙ্গিকে ছলাকলা কলাম।
১. চিত্রলেখা ১৬*
কামকলার নৈপুণ্য আঁচর বুকেপিঠে বইছে ভাটশালিক
নোনতা পুকুরে গানের তমিস্রপক্ষ
নব্বই যুগের সমাপ্তিজ্ঞাপক অন্তমিল
একশতম নাইটিংগেল গাঁথন
হেচকা টানে অন্তঃ সমীকরণ
তুমিকে আমি দিয়ে গুন করে পত্রিকা দিয়ে ভাগ করে কবিতা পেলুম
কবিতা?
একটা মেয়ের ডাক নাম।
ভালো নাম কাজলা
কাজলা একটা পত্রিকার নাম
তারা কালো শব্দে ছাপে
বুকেরপাটা হারকিউলিসের ছাতি
বাড়তে বাড়তে চৌত্রিশ হয়েছে
ক্লিভেজে হাতছানি সম্পাদকের দপ্তর
এ চরিত্রহীন হলেও কাপুরুষ নয়।
২. *কবিতা ৭*
যদি চমকেদি মাঝ রাতেতে তারা
মনের মধ্যে সাইরেনখানা বাজুক
নষ্ট প্রেমের জাঁতি কাঁটুক ধান
আমি কি আর এমনি দেব ফাঁকি?
সবটুকুই বাকি
এরকমভাবে রাতের পর দিন
কলঙ্ক ফুলে এলাচি ঘ্রাণ
পাথরচুন খান খান
খয়ের হবে বলে।
সুপারি যখন পয়সা
পানের ডিপো ব্যবসা
তবু মুখতো করেছি লাল।
ঠোঁটে জমেছে জাফরান চুমু
সাগর পার করবো হনু
মানুষ মোটেই নয়তো মনু
আসলে উভচর।
ভুতেতে দিয়েছে বর
পুরুষ পুরুষ খেলনাবাঁটি
চুমুতে চুমুতে লাল
সমপ্রেমে বিষুবরেখা
ভীষণ জঞ্জাল।
আহা আমিও পেকেছি তাল
৩. *কবিতা ২৩*
এক অন্ধবেগ অমসৃণ পথ
সঙ্গতা খোঁজে একবিন্দু বসতি প্রেম
নয়নতারা হাওয়াকল জানান দেয়
সে যেন আসছে।
ব্রহ্মপিশাচ দেখছি দোলানো আয়নায়
মানানসই সম্পর্কগুলো একঘেয়ে ফর্মাল
জমাটি প্রেমে ফণা তোলা চচ্চড়ি
কই বেঁচেছে ডাঙায় উঠে
মরণপণ জন্ম জন্ম খেলা।
কই সে আজতো এলো না
আসতে লাগে মোমপথ
ভাবতে ভাবতে রাত
গাইতে গাইতে সংলাপি মন
হঠাৎ কুপোকাত
লবঙ্গলতিকা অভ্যাসে আজ কু এর ছাপ
মন্বন্তর ভস্মাধার সমাধি বৃক্ষের কোটরে
ও সব জানে।
ও জানে উজান বইতে।
একা পথে ঝড়ের রাতে -
সেইতো কবির ভয়নাশিনী হেম
তুই এসব কবে থেকে ?
উত্তরমুছুনসন্দীপ