শষ্য শ্যামলাং সুন্দরম,,,, অন্তরের গহীনে প্রেমের সাম্রাজ্য।
১. অনন্ত অসুখ।
গাছের বুকে দুঃখ বারোমাস নিঃশ্বাসে তাই বাড়ছে বিষাদ বিষ
ফুলগুলো ভুল জ্বালার উপখ্যান কালের দোয়েল দিচ্ছে বুকে শিস,
দিনের শেষে যে যার মতো হায় সকাল খোঁজে অস্তাচলের ঠোঁটে
কেউ রাখে না আমার কোনো খোঁজ ভ্রমরগুলো নতুন ফুলে ছোটে !
প্রাণের ভিটেয় ঘূণ পোকাদের বাস দুচোখ পোড়া আকাশ খসা তারা
আজও ধর্ম মানেই রক্ত ইতিহাস ধৃ-ধাতুতে যাজক দিশাহারা ,
অদৃশ্য জিহ্ব চাটলে লাগে সুখ বুক পকেটের খাটে ঘুমায় পাপ
ভালোবাসি ভাবতে গেলেই তোরে যাচ্ছে বেড়ে বিষম মনস্তাপ।
অন্ধকারের ঘোমটা টেনে চাঁদ লুটিয়ে গেছে অন্য দেহের ভাজে
জীবন ভুলে তোমরা খোঁজ প্রেম কান্না খোদাই পাষাণ মমতাজে,
বুকের কাঁপন কেউ দেখে না মেপে কাহার প্রতি নোঙর ছেঁড়া টান
বৃথাই বনে প্রণয় কুটির গড়া জল পিপাসায় ভুগছে গাভিন ধান।
কপাল জুড়ে তোমার চুমোর দাগা কেশর দোলায় রক্তজবার ডাল
অন্তরে সেই বরফ গলা নদী ফল্গু হাওয়ায় উড়ায় ঘরের চাল,
আমি হয়তো অতি তুচ্ছ তোমার কাছে হৃদয় থেকে নাম দিয়েছ কেটে
নিভু অন্ধকারে আজও তো সেই একা যাচ্ছি প্রেমিক জোনাক হয়ে হেঁটে।
২. নষ্ট প্রেমের শস্যদানা।
খোঁজ পেয়েছি কোথায় গুপ্তধন কোথায় সুখের নদীর উৎসমুখ
তুমি ফুলের গন্ধে বিভোল মন উত্থাল পাথাল কাঁপছে মরু বুক,
আকাশ জুড়ে শ্যামলা মেঘের দল প্রণয় শিঙায় তুলছে মাতাল ধ্বনি
তৃষ্ণা কাতর চাতক সম মন দাও ভরে প্রেম আলোয় চোখের মণি।
হৃদয় ফুড়ে বৃক্ষ তুলুক শির পাখির গানে মাতুক বসুন্ধরা
কৃষাণ হৃদয় মাটির সোঁদা ঘ্রাণে হয় যদি হোক আজকে দিশেহারা,
উষর বুকে আসুক বতর কাল বীর্যে ভরুক মাটির শুষ্ক যোনি
দুঃখে পোড়া বাগান ভরুক ফুলে প্রাণের দুকূল উপছে পড়ুক পানি।
ঢেউ খেলে যাক আলিঙ্গনের ঝড় দেহের খোদাই করুক রাখাল হাত
তোমার নাভীর ঘাস বিছানো পথে ধূল উড়িয়ে পার করিব রাত ,
নিত্য তোমার ঠোঁটের সরাইখানায় মাতাল হয়ে থাকবো না হয় পড়ে
তোমার বুকের বাম ভূগোলে কোথাও আমার প্রেমের ব-দ্বীপ নেব গড়ে।
জাপটে ধরো আগুন বাহুপাশে সর্বনাশের টনক উঠুক নড়ে
পাপ পুড়ে যাক প্রেমের দাবানলে দুঃখ জাগাও পাষাণ হৃদয় খুঁড়ে,
খোঁজ পেয়েছি কোথায় নিরাকার নিজেও গেছে পথের দিশা ভুলে
কাহার টানে আগল ভাঙা ঢেউ অস্তাচলের বসন দিল খুলে।
খুব ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা হে কবি।
উত্তরমুছুন