চোরাকুঠুরীর সংসার,,,, তোমার আমার মুক্ত প্রেমের আলিঙ্গন।
১. জানালার অন্ধকারে।
জানালায় অন্ধকারে একটা ছন্দ পতন থাকে--
কারা যেনো উকি দেয় জানালার অন্ধকারে...
জীবনানন্দ কি ভেবে 'উঁটের গ্রীবার' প্রসঙ্গ এনেছিলেন,
তা আমার জানা নেই--
তবে জানালার অন্ধকারে,
আমি প্রতিনিয়ত এক ছায়া মূর্তি দেখি....
এক অশরীরীর ছায়া মূর্তি......
অসম্পৃক্ত কামনার জ্বলনে,
প্রতি জানালার অন্ধকারে উকি দেয় সে.....
অতৃপ্ত যৌনতা তৃপ্ত হবার কামনায়
সঙ্গম চায়, শরীরহীন যৌনসসত্তা।
শরীরের পূর্ণ সঙ্গমের কামনায়,
রাত দুপুরের ঠান্ডা হাওয়ার গতিতে,
নিশাচর পতঙ্গের মতো
এক জানালা থেকে অন্য জানালা
পুরুষের মাংস খোঁজে অশরীরী......
রাত্রি সরে, চাঁদ ফিকে হলে,
আকাশের তারারা যখন শেষ বারের মতো জ্বলে ওঠে;
ফিকে হওয়া কালো অন্ধকারে--
সমস্ত জানালায় সঙ্গব্দ শরীরের গন্ধ পেয়ে,
শরীরহীন যৌনতার অতৃপ্ততায়...সে ফিরে যায়....
তারপর, সমস্ত দিন কেটে গেলে
আবার রাতের স্যাতস্যাঁতে বাতাসে
সঙ্গমের তৃপ্ততার খুজতে.....ফিরে আসে সে.....
ফিরে আসে.....প্রত্যেক জানালার অন্ধকারে.....
২. সমুদ্র আর তুমি।
অভিমানী সমুদ্রের কোন ভাষা হয়না
নীল জলের গভীরতায় পুষ্ট সমুদ্রের
ব্যাখ্যা-গভীরতা-চঞ্চলতা প্রকাশ করার নয়
অনেকটা আমার সঙ্গীনির ভেজা চুলের মতো
অনেকটা আমার সঙ্গীনির চেরা ঠোঁটের মতো
যার অভিব্যক্তি আছে, কিন্তু তার প্রকাশ নেই
মৌসুমী সমুদ্রের উত্তাল উন্মাদনা
হয়তো তোমার উন্মাদনা থেকেই সৃষ্টি
স্ফীত সমুদ্রের উন্মত্ততা, আমার সঙ্গীনির
সঙ্গবদ্ধ উন্মত্ততাকে ছাপাতে পারেনি
সমুদ্র তুমি বৃহৎ-বৃহতর-বৃহতম হতে পারো
কিন্তু তোমার শরীরে আমার সঙ্গীনির গন্ধ নেই
আকাঙ্খা-কামনা-অভিব্যাক্তি কিছুতেই
তুমি আমার সঙ্গীনির মতো নও
তুমি স্থূল, তুমি বৃহৎ,
তবুও তুমি বড় ফাঁপা....
বড্ড বোশী এলোমেলো
একগুচ্ছ অপরিণত উন্মাদনার সমষ্টি তুমি সমুদ্র..
অনবদ্য কবি
উত্তরমুছুন