১. কবিতা:
আগুন-জলে শ্রাবণ বাসর
মায়িশা তাসনিম ইসলাম
বারুদ চাঁটা সত্যের বুকে জলেরা আঁকে প্রেমের নির্যাতন
চন্দ্রবৈধব্যের মাটি ভিজে গিয়ে হাতে পড়ে নেয় সবুজ পাতার ব্রেসলেট...
মেঘের চিবুকে তুমি আগুনের ঝাঁঝ!
অনির্বাণে জ্বলুক বরষার ম্যাক্সির তলে বিধবা রমনীর স্তন!
বীর্য-শশ্মাণে প্রবেশ করে
সমাজের কাঁদায় লেপ্টে থাকা পা!
কবর খুঁড়ে বেরোয় চন্দনের মিথুন-ফোয়ারা!
পুরনো বটের শেকড়ে চুমু খায় কদমের ঠোঁট।
কুয়াশার দাসত্ব কিনে নেয়া শ্রাবণ,
ঘর্মাক্ত পিঠে লিখে দেয় গোপন উপন্যাস!
বেনোজল-কেশে ঢাকা কপালে স্বপ্নের আঙুল,
লাল টিপের পুনরায় জন্মকালীন আর্তনাদ!
মৃত্যুঘোর কেটে গেলে বৃষ্টির নির্মানে ঠাঁই নেয় অমরত্বের লাজুক অপরাধ।
২. কবিতা:
রহস্য-পর্দা
মায়িশা তাসনিম ইসলাম
আজ জানালারা উঠে আসে কোমা থেকে
কারণ শরতের কোলে আশ্রিত অসুস্থ গ্রীষ্মে
ভর করছে ধ্যানত্যাগী অভ্রনয়ন! কাজলমাখা নীলের চুম্বনে
দালানের দগ্ধ পাপগুলোতে নীলাম্বরীর শয়ন!
মৃত্তিকার বুক ফুঁড়ে বেরোয় গলিত সংবেদ্য,
কামাতুর আকাশ-দেবতা!
সবুজ প্রেমিকাদের অভিসার-তৃষিত শরীর ভেসে যায়
জলজ উষ্ণতায়!
জানিনা, তোমার মনে আছে কি না
শরীর থেকে সমস্ত বিষাদ পান করে
অমরত্বের ঘ্রাণ নিয়েছিল নশ্বরতা।
কেঁপে উঠেছিল পাথুরে বোধ
অনিরুদ্ধ অক্সিজেনে!
তুমি জিজ্ঞেস করে উঠলে কিছু একটা
যে প্রশ্ন আজো শতাব্দীর স্পন্দনে জাগায়
স্নিগ্ধ প্রলাপ!
উত্তর দেইনি।
শুধু কপোলের উদ্যানে ঝরেছিল
এক ফোটা অশ্রু-শিশির।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন