অযৌক্তিক
অন্তরা চ্যাটার্জী
পৃথিবী ভাঁজ হলে রিক্ত দোয়াতে
পুড়ে যায় কিছু আলো-বীজ।
বাস্তবতায় চাবুক বসায়
দলছুট সত্যেরা।
সত্তম পঙক্তি, কম্পন...মানেনা কখনো।
ভেজা চামড়ায় ডুবে থাকে
নিষাদের কালো ঘ্রাণ।
ভেবে দেখো একবার,
মুক্তির প্রস্তাবে
রীতি নিভে গেছে ঠিক কতবার!
আরো কতবার,
ঈশ্বর হয়েছে মুহ্যমান
মাটির তলায়!
নখে নখে পোষা যত
অবুঝ অভ্রান্ত অনিয়ম,
মুক্তির আঙুলে বিঁধে যায়
লুকানো দস্তুর;
গোড়ায় গোড়ায় গোপন গোঁড়ামি।
এবং বাকিটা....
ইতিহাস জানে সব।
বিশ্বাসঘাতক
অন্তরা চ্যাটার্জী
উল্টানো থালায় সাজানো গরল
আমি প্রেম ভেবে খেয়েছি, বিশ্বাসে।
আরো কতবার কৌতুহলে
আঙুল দিয়েছি, হিসেব রাখিনি।
নির্লজ্জ মন ভ্রূণের ভেতর করেছে
আত্মহত্যা,
ঘোলাটে কুয়াশা তবু
ঈশ্বর দেখাতে পারেনি কখনো।
আমি ভুলে যায় বারবার,
এক রেখায় মানুষ হাঁটেনা কখনো।
তাই, বিষ খেতে ভালোবাসি
আমরা প্রত্যেকে।
ঘুম ভাঙলেই শুনি
আধুনিক খিলখিল সংলাপ।
সরলে জটিল মেশে
শ্রেণীভাগ কষ্ট পায় ভীষণ।
অন্ধকারে চোখ পোষে
মৃত সান্ধ্যভাষা;
আর পৃথিবী তখন মিথ্যেকথার আসর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন