শুক্রবার, ১৩ জুলাই, ২০১৮

বর্ষামঙ্গল সংখ্যা-৫



চাণক্য বাড়ৈ


১. মনমিতি

জ্যামিতির জ্ঞান নেই, তাই জানতে পারিনি
কতটা পরিধি বিস্তৃত করে আছ চোখের গোলকে।
অথচ উপলব্ধির অতীত কোনো বিস্ময় নিয়ে
তোমার চোখের দিকেই তাকিয়ে আছি
অনির্ণীত কাল।

আর বলো, ত্রিকোণমিতি বুঝি না বলে
কত দিন পড়ে থাকব বহুকৌণিক দৃষ্টির ভ্রমে?
কিছুই যে জানি না, তবু
উঠোনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে জেনেছি—
কতখানি বেগ নিয়ে এলে দীর্ঘ ব্যাকুল চুলগুলো
ডানা মেলে হাওয়ায়—
আর (রোদ্দুরে মেলে দেওয়া)
বাবুই পাখির বাসা হয়ে ঝুলতে থাকা
অন্তর্বাস দেখে জেনেছি, নিতম্ব আর স্তনের মাপ।

তোমাকে একবার
মধ্য আষাঢ়ের উজ্জ্বল দিনের উপমা দিতে চেয়েছিলাম,
তুমি কেঁদেই ফেলেছিলে—

অথচ, পৃথিবীতে নির্ভুল কোনো মনমিতি নেই...



 ২. বৃষ্টি :  আজও

আজও তোমার চুম্বনের কথা মনে পড়ে
বৃষ্টির ছাঁটে
আমার বিছানা একটু একটু করে ভেজে
তবুও খুলে রাখি জানালার কপাট।

এমনই বৃষ্টি ছিল সেদিন
তোমার চুলে
বৃষ্টির ছাঁটের গুড়িগুড়ি বিন্দুগুলো
ছড়াচ্ছিল ঝলমলে গৌরবের জ্যোতি
যেন মুক্তোর দানা--

আজও তোমার অন্তর্বাস
আমার দিকে অপলক থাকে চেয়ে ।

তোমার কবোষ্ণ ছোঁয়া আজও অনুভব করি আমি
শুধু তুমি নেই আজ…
আর আছে সব।
তোমার ঠোট, বাহু, নিতম্ব নাভি
আলতো ছোঁয়া
এমনকি
রমণের আহ্বানে তোমার রাঙা মুখের স্মৃতি
তা-ও মোছেনি আজও।

এমনই বৃষ্টি ছিল সেদিন
তোমার কোমরে আমার হাত ছিল
সেই হাত আছে আজও
চুম্বনের শিহরণ, সেও আছে আজ
আর আছে
এই বৃষ্টি…

আজও।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন