শনিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৮

আম্রমাধুরী সংখ্যা- ৫



১. কবিতা: ◆ উপেক্ষিত ঝড় ◆
                   **পল্লব কর্মকার।

ছুঁয়ে দেখার আগ্রহে
বামনের হাত লম্বা হতে থাকে চাঁদের দিকে,
ভুল করে সেও,
   স্পর্শকে ভালোবাসা ভেবে।

সেকাল থেকে একাল...
চন্দ্রের প্রতি আকর্ষণটা বামনের'ই হয়তো
সবচেয়ে বেশি।

মাসভক্ষনকারী কিলবিলে পোকাগুলো
ছড়িয়ে আছে গোটা দেহেজুড়ে
ভালোবাসা হয়ে।

 মেন্সট্রাল সাইকেল পূর্ন করে ঝড়ে যায় কৃষ্ণচূড়া,
বোরখা পড়া গৌর মুখখানিতে
রহস্য হয়ে থেকে যায় প্রেম...

তপ্ত কাঞ্চন ডুবে নাইট্রিক অ্যাসিডে
হয় খাঁটি, তবে সে অ্যাসিডে কাঞ্চন ফুলের দশা...

ফালতু চঞ্চু নিবেশ
ঝড় থামলেই আকাশ আবার ঝাঁ চকচকে...


২. কবিতা:
     ভাম
পল্লব কর্মকার।

তখন আমি চাঁদ অন্ধকারে ভিজছি,
ভাই বললো দাদা বাইরে ভাম বেরিয়েছে
এই ভাম টা যে আদেও কি!
অন্ধকারে পুরুষত্বের হায়না হাসি
সেভ করেনা বোধয় খুব ভয়ানক দেখতে
নাকটা নাকি মানুষের থেকেও তীব্র
শরীরের গন্ধ খোঁজে ব্যাস্ত রাজপথে
রাজভোগের লোভে ছানাবড়া চোখ
আর লকলকে জিভ কাঁপে লালাস্রোত সাথে
আমরা কেউই ভাম দেখিনি কোনোদিন
তবু বুড়ো ভাম দেখি প্রতিদিন…



৩. কবিতা: *অগোছালো*
পল্লব কর্মকার।

তুমি আসার পর থেকে অনেকটা অগোছালো হয়ে গেছি আমি
আগে বাঁশিটা থাকত দেওয়াল আলমারিতে
এখন সে ছলেবলে আমার বিছানায় করেছে স্থান
জামাগুলো মার্চ করতো আগে
আলমারির তাকে
এখন যুদ্ধ মিটে গেছে বোধহয়
তাই মার্চপাস্ট ছেড়ে আলনায় বানর ঝোলা ঝুলছে
হারমোনিয়ামটা টেবিলে খোলাই পড়ে থাকে
হঠাৎ হঠাৎ তার বুকের রিডে হাতের ছোঁয়া দিতেই
মধুর আর্তনাদে বলে ওঠে তোর নাম নিস্তব্ধ ঘরে
বইখাতা গুলো বুক সেল্ফের শীতঘুমের পরিবর্তে
বাঁকাচোরা ঢঙে শুয়ে আছে টেবিলে
টেবিল ল্যাম্পটার রেগে মাথা গরম হয়ে আছে
হবেনা! প্রায় তিন মাস একভাবে হাসছে সে
এত কি কেউ হাসতে পারে!
পরিপাটি সেই ছেলেটা এক ঝলক স্বর্গ দেখতে
আলুথালু পোশাকেই ছুট দেয় পাড়ার মোড়ে
কলারটা উপরে তুলে উড়নচন্ডী হয়ে
চুমু খায় অপেক্ষারা চায়ের ভাঁড়ে
তুমি এসে কালারটা ঠিক করে দিয়ে বলবে
"কী হচ্ছে তোমার একটু ঠিক করে থাকতে পারো না?"
হয়তো ওটা শোনার জন্যই…
অগোছালো হতে ভালোবাসি খুব।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন