১. কবিতা:
#চা_বাগানের_মেয়ে ।।
-----#অভিজিৎ দত্ত ।।
ছোটর থেকে বায়না যে তার রঙবেরঙের চুড়ি
বয়স বাড়ার সাথেতে চাই গয়না এবং শাড়ি ।
চা বাগানের রমলু মাঝির তিন লম্বর বিটি,
দেমাকী তার রূপের বাহার, পড়ছে যেন ফাটি।
এলেন হেথায় কুলকাত্তার, ছোকরা ম্যানেজার
কহেন তিনি পালাইকে চল, শাদী করি এইবার ।
রঙের আশায় রক্তে মাদল, নেশা জোগায় প্রাণে
কুলকাত্তায় ছুটল দুজন, বাবুর আমবাগানে ।
সেই বাগানে ছিল অনেক পলাশ বকুল ছায়া
এবং সেথা পড়েছিল এক নারী শীর্ণকায়া।
ঠোঁটের কষের দুপাশ বেয়ে ঝড়ছে লালার স্রোত
পিঁপড়ের দল সারি পেতেছে, জমিয়ে চলছে ভোজ।
বিদ্যুৎ হেথা ঝিলিক মারে, ওই মেয়েটির দেহে,
মধু যেটুকু বাকি ছিল, সবটা শুষে নিয়ে ।
ও অভাগী কেন রে তুই এসেছিলি হেথা
জীবন দিয়ে টের পেলি তো,
কেমন শহর কুলকাত্তা ।
২. কবিতা:
#বৃষ্টির_খোঁজে।
-----#অভিজিৎ_দত্ত ।।
বৃষ্টি তোমায় ডাকছি কতোই কেন যে ভাই আসছ না
সূয্যিমামা ঘষছে ঝামা, তোমার নাকে বুঝছ না ?
বৃষ্টি বৃষ্টি করছি সবাই বৃষ্টি তো ভাই আসছে না
কান্নাকাটি করেও যে তার, মন ভেজাতে পারছি না।
মোমবাতি হাতে নিয়ে মানত দিলাম পীর মাজারে
যদি উনি আনতে পারেন সূয্যিমামার রথটা কেড়ে ;
সঙ্গে যদি হাজার গ্যালন জলটা উনি আনেন ভরে
দিব্যি দিচ্ছি হ্যাজাক বাতি জ্বালিয়ে দেব ওঁর মাজারে।
শিবঠাকুরের কাছেও আমি হত্যে দিলাম মন্দিরেতে
বরুণদেব কে ডাকছি সাথে, আসুন না ভাই বজ্র হাতে;
মাথাতে জল ঢালতে শিবের ছুট্টে গেলাম তালপুকুরে
সেটাও যে আজ বেহাল হলো ঘটিটাও তো ডুবছে নারে।
গাছ কেটে মোর ঘাট হয়েছে আর কোনও গাছ কাটব না
প্লাবন এসে ভাসিয়ে দিলেও কিচ্ছুটি আর বলবো না।
চারদিকে আজ উড়ছে ধুলো দেশটা মোদের যাচ্ছে ভরে
কি করি আর পাই না ভেবে ডাকছি জোরে আল্লাহ রে ।
করছি কতোই আচ্চা মানত খাচ্ছি কতোই শপথ যে
বৃষ্টি তবু মামার বাড়ি মোদের পানে তাকায় না সে।
বৃষ্টি যখন আসবে তেড়ে ভাসবে শহর কোলকাতা
বৃষ্টির নাম ধরেই না হয় গড়িয়াহাটেই কিনব ছাতা।
এতো করে বলছি তবু বৃষ্টি পড়ার নামটি নেই
পণবন্দী করব এবার মেঘ দেখলে আকাশেতেই।
তখন কিন্তু ছাড়ব না আর প্রলয় কাণ্ড ঘটবে যে
সেই প্রলয়ে ছেঁড়া কাঁথায় থাকব শুয়ে শান্তিতে।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন