১.
........ # এমনই দিনে তারে বলা যায় #..........
*অরিজিৎ রায় *
চিলেকোঠার দেওয়াল ঘেঁষে ওঠা তুলসী-টা
আজ ও সাক্ষী -
হঠাৎ ই বইয়ের ভাঁজে রাখা শুকনো পাপড়িগুলো
ফিরে গেছে একুশের প্রথম আলোয়!
সদ্য ফোটা সর্ষে দানা দস্যি মেয়েটা, কখন যে
হলুদ বসন্ত হোল- কি জানি ছাদের কোন্ ,
বোধহয় বুঝে নিয়েছিল !
নখে নখ যখন জড়িয়ে, ভ্রু-পল্লবের "দাবীরা" -
দখলদারি তকমা সেঁটে এক্কেবারে বুকের কলজে
জুড়ে সাঁতার দিয়েছে - বালিহাঁস হয়ে ,
হ্যাঁ, মন ঠিক ধরা দিয়েছিল - চন্দ্রভূক অমাবস্যায়।
রাত্রিরা সেদিন নির্ঘুম হয়েছিল উশখুশ দোটানায়,
টেবিল ল্যাম্পের আলোয় খাতার পাতারা-
ভিজেছিল- অপরাধ বোধ, না কি ভালোবাসায় !
সিঁড়ির প্রতিটা ধাপ জুড়ে ছিল তোমার গায়ের গন্ধ,
চৌকাঠে নামানো চোখটা, চিবুক ধরে সন্তর্পণে
তুলে ধরেছিলাম আমার চোখের উপর -
যেমন করে ঝড়ের রাতে মা-পাখির ডানায় আশ্রয়
পায় ছানারা - আমার ঠোঁট ভরসা মেখেছিল
তোমার উষ্ণ ঠোঁটের প্রথম আলুথালু যতনে ,
বাকীটা ইতিহাস - তোমার মানবী হয়ে ওঠার
প্রথম অভিসার ।
সেদিন কোনো গোলাপ ছিলনা -আড়ম্বর ছিলনা,
শুধু চিলেকোঠার "বনতুলসীটা" আমাদের দিকে
চেয়ে একটু মুচকি হেসেছিল।
২.
....... # এ পথে আলপিন #.........
* অরিজিৎ রায়*
সেফটি-পিনটা ঠিক একই জায়গায় বন্দী -
কতবার বলেছি - আমার জন্য না হোক,
তোমার নিজের জন্য - "হ্যাঁ খুলে রাখো" ।
ওলোট পালট সময় এখন, ভরা বুকে -
ভালোবাসারা শরীরী হয়, ভোর রাতে।
কাল রাত ভোর বৃষ্টি হয়েছে,
কবিতার খাতা সেই শূন্য রয়ে গেছে ,
খুনসুটি, কলম বেয়ে শরীরী হয়নি !
নিষ্পাপ প্রেম কতটা পথ হাঁটলে -
সেফটি-পিনটার প্রয়োজন ফুরায় ?
অনুভব কথা কয়-মন থেকে শরীর -
অবয়ব থেকে প্রকৃতি - একাত্ম হয়।
আজ আর প্রেম লিখতে পারছি না
এসময় চারিদিকে পিন ফোটা যন্ত্রণা,
চাপা লোকলজ্জা পুড়ছে - মিডিয়া টিআরপি!
সেফটিপিনের সেফ্ - ক্যাপটা খুলে গেছে,
নারকোটিক ভাবনায় বুঁদ - পিন ফুটছে শৈশবে!
তবুও টেনে পিনটা ছিঁড়ে নাও বুক থেকে
খোলা বুকে মুখ রেখে একটু কাঁদতে দাও
শিশু মুখ যেভাবে চুষে নেয় স্তনবৃন্ত
নির্ভরতা মেখে নেয় - মায়ের দেহ থেকে- মনে,
ঠিক সেই ভাবে আদর কর, চুমু দাও -
আজ খুব জ্বর - জলে ওডি কোলন মিশিয়ে
আরো একবার জলপট্টি দাও - "মাথা-দের" !
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন