১. কবিতা: মুখস্থ।
রাজীব মৌলিক
সেই বই মেলায় প্রথম কুচিতে ঢাকাই শাড়ী
কি লাজুক মেয়ে তখন তুমি ষোড়শীর এক নারী
কচি চাঁদ আশেপাশে দু একটা দোকান চেয়ে
মঞ্চের গানে তোমার হয়তো মন,রবি যাচ্ছে বেয়ে
হঠাৎ বুকের গভীরে আচমকা সাইরেন সংকেত
বেজে ওঠে সুর,অজানা সমুদ্রে আঘাত হেনেছে বেত
দিগ্বিদিক কে, কার চোখ!কার নোলক আর দুল
মস্তিষ্ক জুড়ে,কেউ জানে না,ফুটছে রকমারি ফুল
এ কোন ললাট? এ কোন নারী? আমি কি তারে চিনি!
তবে কেন সে মুখস্থ যেন হাজার বছরব্যাপী জানি
নিষ্পাপ ওষ্ঠে নিখাদ ব্যাবিলন,মেঘের বাসর কেশে
দোলনচাঁপা অমরাবতী পেয়ে ফোঁটে,ভ্রমরও শায়িত তার দেশে
মর্ত্যের স্বর্গ দেখেছি সেদিন চোখে,একফালি জোৎস্নার দন্ত
কি সুখের চাদরে জড়িয়ে গেল বুক,স্বপ্নিল তবু প্রাণবন্ত
হঠাৎ গুরুগুরু মেঘ কোথা এসে মাড়িয়ে দিল সাজানো ঘর
হাত ধরে বলে 'এই মেয়ে চলো,অপেক্ষা করছে তোমার মাদক বর।'
হায়রে মাদক অকালকুষ্মাণ্ড তুই একটা,যে নেশার খনি রয়েছে ঘরে
ঈশ্বর তুমি বড়ই নির্দয় বিচারক,এতো যাকে রূপ দিলে সোনা দাওনি তারে।
কি জানি কি ভেবেছে সে কেবল,হাসিল আমার পানে
মুখস্থ পৃষ্ঠা আরও কিছুক্ষণ থেকে যেতে চায় ভাঙ্গা মনের গানে।
২. কবিতা: প্রতীক্ষিত চাঁদ।
রাজীব মৌলিক
বধূ ছুঁয়ে দ্যাখো আমার নীলদুপুরের শরীর
এখনো টগবগিয়ে যৌবন ঝরছে,হৃদপিন্ড হিমাদ্রীর
জমাটবদ্ধ প্রেমগুলো হর্ন দেয়-অদূরে বসন্ত বায়ু
এই নিশুতি তমসায় গাঁথা হোক ভবিষ্যৎ-রক্তের জরায়ু
আর নয় অবহেলায় অযাচিত সময়ের পানে ছুট
এ রাত জানুক,মরুর বুকে কত ভালবাসা সঞ্চয়-অটুট
পৃথিবী মুখ ঢাকুক তোমার বক্ষের রূপে
সময় থেমে যাক আজ প্রণয়ের সুখে
আলুথালু কেশে মেঘ ঢেকে যাবে-নিটোল দেহের গড়ানে
লজ্জিত কুমারী ভেঙ্গে দেবে সাঁঝ-উদ্বেল যৌবনের বানে
সমস্ত যামিনী নদীকূলের বিথী কেউ চোখ রাখবে না চাঁদে
ফুলসজ্জায় আজ লাল চাঁদ উঠবে গগনচুম্বী রাতের ফাঁদে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন