শুক্রবার, ১০ আগস্ট, ২০১৮

রথযাত্রা- ১



| রথের চাকা সচল কী? |
---------------কলমে সুদীপ্ত সেন (ডট.পেন)

রঙ কিনে রাখা ছিল খাতায়, সে খাতায় জল পড়ে গেছে, লেখা ভিজে গেছে কী দারুন.....!

তবুও রথের দিনে আশ্চর্য রকমের জেদ প্রেমিকার, মেলায় যাবে সে। আমিও যেতে চাই তার কারন রথের মেলার খুব সস্তাদর।

একসাথে যাবো, জিলিপি খাবো,দেখবো হরেক রকম ১৫ টাকা সব।ফুচকাও খেতে চাইবে হয়তো, আবার এক পশলা বৃষ্টি ভিজিয়েও দিতে পারে আমাদের ফিরতি পথের আড়াল খুঁজে।

 রথ দেখতে যাবো সাত-পাঁচ সব না ভেবেই, মেঘ করেছে ছাতা নেবার দরকার নেই নাক সিটকে জানিয়ে দিল সে।

 হঠাৎ করেই মেলায় যাওয়ার পর একটা অদ্ভূত কারুকার্য চোখে পড়ে হ্যাঁ কারুকার্য তো, লক্ষ্য করবে রথের ওপরে ঠাকুর বসানো হয় আর আমরা সবাই রথের দড়ি টেনে নিয়ে যাই ঠাকুরকে মাসির বাড়ি পৌঁছানোর জন্য। আচ্ছা এখানে একটা ব্যাপার দেখবে খুব চোখে লাগে সেটা হলো
        'ঠাকুর কে'?
' যাকে বসানো হয় সে নাকি যে বসে থাকে? '

ছোটো থেকেই দেখি আর প্রশ্ন তৈরী হয় মনের ভেতর আজও প্রশ্ন আছে উত্তরটা দিও প্লিজ যার জানা আছে,

'আমি যে ঠাকুর চিনিনি এখনও.....'

 রথ ঠিক এগিয়ে যায় নীচের তলার মানুষ দিয়ে তখন কিন্তু ভেদাভেদ হয়না তুমি জাতে ছোট ছুঁয়ে দেখবে না রথ এটা তোমরা বলতে পারো  না দড়ি তো সবাই টানবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু আমি বলব না দড়ি সবাই টানতে পারেনা বরং দড়ি সবাই না টানলে রথ এগোবে কি করে, কী আশা করি বুঝতে পেরেছ ..বেশি না বলাই ভালো নইলে আমাকে ধমকি দিতে পারে আস্তিকের দল, ধরে নিয়েও যেতে পারে আদলতের কাগজ...ইত্যাদি, ভয় পাই।

এসব চলুক চলছে যখন কি আর করা যায় কিন্তু কতকাল?
নিশ্চয় একদিন অচলায়তনের মতো করে কেউ প্রাচীর ভাঙবে আর যে হাতে নামাজ পড়া হয় সে হাতও রথির দড়ি টানবে। জাতি ভেঙে সবাই মানুষ হবে।আর যে ভারতবর্ষে ভিক্ষার নীতি চলে, হয়তো একদিন সেটাও মিটে যাবে আর সচল হবে রথের চাকা, চলবে... চলবে... চলতেই থাকবে....

এই শোন এই ঝুমকো টা দেখ?
  নিবি?  হি হি
নে না মানিয়েছে।
কত ভাই?
হরেক মাল ১৫ টাকা!
 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন