(অসাধারন রচনায় আত্মমুগ্ধ রথযাত্রায় কৈশোর)।
কৈশোরের স্বপ্ন
নাসির ওয়াদেন
নিষিক্ত বেদনা ঝড় হয়ে ভেঙে পড়ে কালাচাঁদ
জোৎস্নার ম্লান মুখে ঝরে অশ্রুধারা, অবসাদ
পদ্মপাতার উপর জলবিন্দু সাতরঙা আলো
রূপ ঠিকরে বন্যাঢেউ বহে বিমূর্ত জমকালো
কৈশোরের সেই ভাঙা দিনগুলো,সরবে নীরবে
পোড়া মনদুটি সিক্ত হলো যে পুনর্রথ উৎসবে
কিশোরী কুমারীর লালঠোঁটে দেখি সিঁদুরেমেঘ
অপটুছায়ার বুকে নৈরাশ্যের শীতলইচ্ছা আবেগ
কাকজোৎস্না ভোর আঁকে অবাঞ্ছিত প্রেমের চিত্রকথা
লালসার হৃদে জেগে ওঠে শুধুই বিবর্ণ আদিখ্যেতা
হারিয়ে যাওয়া শুকনো ঢেউবনে জাগে প্রেমঘন
জগন্নাথের রশির বাঁধনে বাঁধা গেছে দুটো মন
¤¤¤¤¤
ঈশ্বর ও প্রেম
নাসির ওয়াদেন
চেনা দিনগুলোতে অচেনা কাঠের খটমট উল্লাস
হাতের তালুর নীচে ভালবাসা,মোবাইলেই বিশ্বাস
খুনি ফাটা শব্দের বুকে বিশ্বাসী লোনা ছোঁয়া
বৃহৎ জলাশয়ে গভীরে লুকিয়ে শুধুই হারিয়ে যাওয়া
গোপনে গোপনে প্রেমিকার কাঁধে রেখে নির্ভর হাত
জিলিপি, আলতা, সিঁদুরে সাধ বড়,অঝোরে ধারাপাত
যমে মানুষে টানাটানি চলে,টানাটানি রথে রশি
ঈশ্বরপ্রেম জেগে ওঠে মন, কোথায় অবিশ্বাসী,,,,
সত্যের আলো উঠলে জ্বলে, পালায় অন্ধকার
মিথ্যের বড় শত্রু সত্যেরা, জলফোঁটা এক পদ্মপাতার
হতাশ প্রেমিকের বুকে মালাবারি ঢেউ উঠে তোলে
ভরতুকি বাতাসের প্রেমবেলুন নীলকাশে আজ দোলে
উন্মাদ হাসি উছলে পড়ে নিরাশার সংভূমি পাঠে
হারানো প্রেম ফিরে আসে রথে,সহিষ্ণুতার মাঠে
¤¤¤¤¤¤
ধন্যবাদ
উত্তরমুছুন