১. কবিতা: স্পর্শ।
নাম: সন্দীপ পিপলাই।
তোমার স্পর্শে ভোরের তন্ময়তা,
সূর্যের বিকিরণ মেঘের আড়ালে
মন জুড়ে স্নিগ্ধ বাতাস...
আমার লেখার পরিণত রূপ,তোর মাঝে l
প্রতিটা ভোরের মিষ্টি সুভাসে ডিও মাখা শরীরের অমোঘ উষ্ণতা।
প্রথম তোমার কাছে যাওয়া আগন্তুক বেশে,
অন্তরালে গোপন উৎকন্ঠা
সৃষ্টির আনাচে-কানাচে শুধু তুই ...
বারান্দার টবের পাতাবাহার লেগে থাকা শিশির----
যেমন ছুঁয়ে দেয় তৃপ্তির পরশ,
তোর উষ্ণ ঠোঁটের স্পর্শ প্রাপ্তির আকাশ ছুঁয়ে...
আঙ্গুল ছুঁয়ে নতুন পথের পথিক হয়েছি
এক নিঝুম রাতের স্নিগ্ধ নীলিমায় l
ছাদের রেলিং জল ফড়িং---
মনে করায়, সবটুকু চিনে নেওয়ার ব্যপকতা...
এলোকেশী চুলের বাঁধন...
নিশ্চুপ চোখের চাহনি--- আলিঙ্গন মনের তীব্রতা!
উফফ আমি পাগলপারা l
তুমি আসো মননে বারবার---
পাশ বালিশের তীব্র আলিঙ্গনে...
২. কবিতা: ছিন্নমূল।
সন্দীপ পিপলাই
রাত একা চেয়ে আছে আমার অপলকে
নিঃশ্বাসের চাদর ঢেকে রেখেছে মৃত আমিটাকে ,ক্ষত ঘিরে আজ স্মৃতির সেলোপিন...
রোদে শুকানো ভিজে স্যাঁতস্যাঁতে ফাগুন ,রেনেসাঁর জরীপে আটকে থাকা মরীচিকা!
সাদা খামে বন্দী যতো স্বপ্ন মাখা কল্পনা আজ আর্কাইভ,
ছেঁড়া অনুভূতি,অপরিমেয় বাস্তব!
কতো কিছু ছুঁয়ে আছে কার্নিশ ভাঙ্গা মনটা ,খসে পড়া সাজঘরের কবরে--
মৃত্যু প্রশ্ন করে জীবন তারে বয়ে চলা লুপ্ত অনুভবে !
কে তুই ?
দীর্ঘ শূন্যতা চিরে স্পন্দন খোঁজে আশ্রয় যবনিকার অন্তরে...
বাস্তব এক প্রকাণ্ড চিৎকার--- অস্তিত্বের কলেবরে ,
জীবন্ত শবের নাগপাশে পরে অবিচ্ছেদ্য আমিত্ব!
টুকরো হওয়া মনের শিকড়ে লেগে থাকা অনুভূতি, শুধু উপরে ফেলা ছিন্নমূল ...
৩. কবিতা: যে_যাই_বলুক।
সন্দীপ পিপলাই।
তোমার ঝুমকো কানের দুল...
আর এলোমেলো খোলা চুল,
গোলাপের পাপড়ির মতো ঠোঁট,
যতো রঙিন প্রজাপতির জোট।
ঢেউ খেলানো তোমার শরীর---ঠিক যেন তীর তীর বয়ে চলা ইছামতি!
ছুঁতে চাই তোমার কোমল বক্ষ নিরবধি l
চুম্বনে চুম্বনে তুলবো ঝড়!
যে যা বলুক যাতা ---আমি ছোঁবই তোমার শরীরের বালুচর!
উষ্ণ শরীরে মেলবো মনের জানালা।
উন্মুক্ত শরীরের ভাঁজে ভাঁজে যৌনতা!
হৃদয় ক্যানভাসে শরীর মনের মুখর মৌনতা।
কারণ ছাড়াই তোমাকে ভালোবাসি ঠিক যেমন আলো-আঁধারি..
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন