সোমবার, ২০ আগস্ট, ২০১৮

স্বাধীনতা- ১৫



১. কবিতা: স্বাধীনতা দিবসে

            -বরুন কুমার আড়ী


এই দেশ আমার দেশ।

এই দেশ আমাদের দেশ।

এসো বন্ধু সবে মিলে ভোগী,

বিলিয়ে নিই স্বাধীনতার রেশ।


স্বাধীনতা দিবসে মরমের সুর আর

আক্ষেপের হুঙ্কার,ফুটছে ধানভাজা খইয়ের মতো,

সেই সকাল থেকে, বক্তৃতা হয়ে।

কখন থামবে কে জানে!

দুপুর দুটোয় মধ্যাহ্নভোজন।

সময় আর এগোতেই চায় না।

স্বাধীনতার স্ব- না বোঝা ওদের ধুলোমাখা

অভুক্ত শৈশব,আজ হুমড়ি খেয়ে পড়েছে

১৫ই আগস্টে দুপুর দুটোর মধ্যাহ্নভোজনে।

আমাদের পাড়ার নবোদয় সংঘ‌ ক্লাবে।


অবশেষে প্রস্তুত ভাত মাছ ভরা টেবিল।

কিশোরির অপটু কাঁখ ছোটো ভাইকে নিয়ে,

ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্ষুধার্ত হায়নার মতো।

হঠাৎ কি বিভৎস হাঁক ডাক।সেই আগের মতো।

মঞ্চে শক্ত শক্ত কথা বলা সেই ডাক। তখন কিছু বোঝেনি ওরা।

এখন ওরা শুধু বুঝলো,জামাপ্যান্ট পরা ভদ্দরলোক বসবে এখন।

অগত্যা আবার সেই পেট আঁকড়ে অপেক্ষা,আর শক্ত ভাষার পুনরাবৃত্তি।




২. কবিতা: জননীর যাতনায়

                   -বরুন কুমার আড়ী


কোথা যাও পথিকবর সঙ্গে লয়ে ঝুলি।

       দেখিয়া ভাবি যোগী তুমি

   লও এ যাতনা ধ্বনি।

       বিবর্নতার পোশাকে আমি

     অনগ্রসর কলি।


তুমি মাগো স্কন্ধমাতা

     এ ভারতের জননী।

পঙ্কিলসম তিক্ততায় আজ

    তোমার ললাটবরনী।

রক্ষিতে মা তোমায় আজি

       যাইবো অমরাবতী।

ধ্বংস করিব ইন্দ্রপুরী

        হইব শক্তিপতি।

দেখিব কে দেয় বাধা

   কে ধ্বংসে,এ আরতি।


পুত্র তুমি,হে যোগী

   ধ্বংসিও না কিছু।

তোমা সম সন্তান হোক

   থাকুক ধরনীর পিছু।


আমার মাতা ধ্বংস যেথা,

        সেথায় ইন্দ্রপুরী !

বিলাসপুরীই সে তো শুধু,

তোমার অনিষ্টকারী।

ক্রুদ্ধ চোখে নামেনি সে

        বজ্র সঞ্চারী।

ক্রুদ্ধ আমি ধ্বংসিব সব

       সকল অনিষ্টকারী।

আশীর্বাদ হে মাতঃ

       হই সফলকামী।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন