১. কবিতা: তুমি কথা দিয়েছিলে
নাম: নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত
তুমি কথা দিয়েছিলে আসবে বলে
দরজায় দাঁড়িয়ে
তোমার মোহিনী রূপ দেখিয়ে বলেছিলে,
অপেক্ষা কর,আমি আসছি।
কেউ কথা রাখে না,তুমিও রাখো নি।
শুধু দেয়ালে একটা বার্তা লিখে গেছো।
বুঝতে পারি দিন পাল্টাচ্ছে।
পাল্টাচ্ছে হালচাল।
মাঝে মাঝে মেঘের গর্জন শুনি
শুনি সমুূদ্রের ডাক
ঝড় এসে দোল খায়
মাঠে ঘাটে সবুজ বৃক্ষলতায়।
ভাবি এই বুঝি এলে
চোখ মেলে দেখি--
সেই থোড়-বড়ি-খাড়া,খাড়া-বড়ি-থোড়।
তাই আমি আছি
সেইসব ডানপিটেদের অপেক্ষায়
যারা তোমাকে ঘাড়ে ধরে নিয়ে আসবে
জনগণের দরজায়।
জানি তো
তুমি শক্তের ভক্ত,স্বাধীনতা।
২. কবিতা: স্বাধীনতা বাহাত্তর পেরোলো
নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত
একুশ শতকের দেড়যুগ চলে গেছে প্রায়
বাকি আর বড় জোর শদেড়েক দিন।
প্রথম দশকে আমাদের প্রার্থনা ছিল--
বাতাস থাক স্বাধীন।স্বপ্ন রঙীন।
আকাশে ওড়ানো ইচ্ছেমতো ঘুড়ি।
কলে কারখানায় ভোঁ বাজবে
শিশুরা আমআঁটির নিত্যনতুন ভেঁপু বাজাবে
বর্ষা মাটিকে ভেজাবে
ভেজামাটির সোঁদাগন্ধ মিশে যাবে
তুলাই-গোবিন্দভোগধানের সুগন্ধের সাথে
থালায় ভাতের গন্ধ বাতাসে সুবাস ছড়াবে।
সোনালি রোদ এসে শীতার্ত দিনগুলিকে
হেসে সোহাগে জড়াবে।
আমাদের শাড়ির রং, পাজামার রং
মিশে যাবে আকাশের রঙে,
নতুন দিনের আলো ধুলো ঝেড়ে
ঊর্ধ্বগামী হবে।
মানুষের উচ্চাশা,উচ্ছ্বাস ছিল--ভয় ছিল না।
ভয় ছিল না বলে সাবধানও ছিল না।
ফলত মানুষেরই দুর্বার লোভ
শব্দহীন বেড়ালের মতো
লক্ষ কোটির ঘাড় মটকালো।
সজ্জন ইঁদুরেরা ভাবতেই পারে নি
আগামী দিনে কী খেলা খেলবে তপস্বী বেড়াল।
স্বাধীনতার বয়স কি বাহাত্তর পেরোলো?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন