১. কবিতা:
বৃষ্টি সম্পর্কে দু'চার কথা।
চিরঞ্জীব হালদার
পায়ের নুপুর ভিজে উঠলে কি সাপিনীর মত ডেকে ওঠে।
রিম ঝিম ফোঁটায় সিক্ত সাংসারিক ছাতা কি কথা বিনিময় করে।
নিচে তার আরণ্যক ভঙ্গিমায় তৃষ্ণার্ত কেকা জুঁই ফুলের সুগন্ধ ছড়ায়।
সব মেল নতজানু মেঘেদের কাছে
সব না লেখা মেসেজ মেঘেদের ডেকে বলে আসিও আসিও।
আজ মেঘেদের জন্মদিন।
প্রেমিকেরা জ্বালিয়েছে বাতি।
খুলে দাও সমূহ কপাট।
হে বেলুন তুমিও আসিও ইহাদের সাথে বারিস সঙ্গমে।
আজ আর জল নয় ক্যাডবেরি
ঝরিতেছে গহন সদন।
২. কবিতা:
আষাঢ়স্য প্রথম দিবস---
চিরঞ্জীব হালদার।
মেঘেদের পরীক্ষায়
দশে পাবে দশ।
বলো ফোঁটা ভান---
কিশোরীর দেহ জুড়ে
ভেজাও নাদান।
প্রতি প্রশ্নের উওর
টু দি পয়েন্ট লিখো
শাড়ীহীন বৃষ্টিতে
চাই ফলস পিকো।
পিকোতে আটকে থাক
গুড়ি গুঁড়ি প্রেম।
দেখি কে ছক্কা হাঁকে
কতটা এলেম।
বৃষ্টি কতটা হলে
ভিজে ওঠে মন।
প্রেমিকা জোটাতে গেলে
কে হবে বাহন।
৩.
এ কেমন অন্য মেঘ অন্য বর্ষা।
চিরঞ্জীব হালদারের আরেকটি কবিতা।
অমন সুন্দরীর পাঁচটা তিল দেখলে কেনা পাগল হবে।
বট বৃক্ষের মর্মর থেকে উঠে আসা
রৌদ্রচারী সাপ
উভয়ের মধ্যে এক সমাবর্তন
আর প্রগাঢ় হেঁয়ালি মেলে ধরে।
ঢেমনীরা কি আই ল্যাসে
অনেক পক্ষীর ডাক ঢেকে রাখে।
অনেক সেতার বাদিকা তার
চুমকি নাভিতে যাপন করে পদ্মণাভ ঘুম।
কয়েকজন কীর্তনীয়া তার রমনীয়
পেশিতে এঁকে দেয় বৈষ্ণব বিনয়।
একটি বেড়াল দেখি ইদিপাস
খ্যামটা আদলে ঢলে ঢলে গুঞ্জামুখি।
আমি কোন সাতে পাঁচে নেই।
তবু তিল বহমান দেখি উর্বর আহ্ণিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন