বাস্তবিক প্রেক্ষাপট বর্ষন।(তোমার আমার)।
১. কবিতা: কাঙাল।
সন্দীপ ভট্টাচার্য
এরপর রাত আরও গভীর হলে
গর্ভবতী সময় জন্ম দেয় স্বপ্ন সন্তানের
অজানা গন্ধ মাখা দীর্ঘ অতিদীর্ঘ স্বপ্ন সব
পচা ডোবায় পালিত শামুকেরা
এক পা দু পা খুঁজে পায় রাস্তা সমুদ্রপানে
গভীর নীলসায়রে নোনা জলের ওপারে মৎসকন্যার ঠোঁটের তিলের মতো সুখ
ঢুলচোখে রেশমী ছোঁয়ার মতো
চাঁদ গলে পড়ার যন্ত্রণা দিয়ে যায়
একরাশ কষ্ট
রাত্রি ভোর হলে পা দুটো টেনে ধরে মাটি,
ঘুম ভাঙা সকাল বোঝে-
স্বপ্ন ভাঙা মন কতোটা কাঙাল
২. কবিতা: মহাকাব্য।
সন্দীপ ভট্টাচার্য।
চৌকাঠ ভাঙা স্বপ্ন গুলো ভয়ানক জ্বরে আক্রান্ত
খরা বন্যা পেড়িয়ে
মুহূর্ত রা গেছে অ্যান্টিবায়োটিকের খোঁজে
উত্তর মহাদ্বীপ থেকে উড়ে আসা
এক স্বর্ণঈগল ছাতিম গাছে বসে বলে গেল
সে নাকি এথেন্স ভাস্কর্য ছুঁয়ে এসেছে
আর ডানা ভিজেছে লেক গার্দায়
আমি জানলা থেকে মুখ সরিয়ে ঘরের দৈর্ঘ্য মাপি
গাভিন বুকের গেরস্থালী হলুদ আতঙ্কে
শ্রাবনের উল্লাস জুড়ে আশ্চর্য কালো বিষাদ
চালের ঝুলে লেগে থাকা ক্লান্তিরা হাসে ম্লান হাসি
চার দেওয়ালে বন্দী আমি তখন আঁকিবুকি চিত্রী।
অথচ কথা ছিল দেখা হবে
দুমলং এর পশ্চিম চুড়ায়
বুক ভরে খাবো তোর ঠোঁট ছোঁয়া পাহাড়ী জল
মুক্ত হতে হতে পিছুটান যত
হারানো হলো না রাখালিয়া বাঁশিতে।
ভিত কাঁপা লোকাল ট্রেনের বুক ফাটা বিদ্রূপে
চাপা পড়ে বেদনা স্নাত মূর্ছণা
বুকেতে উল্কি দাগা বিদীর্ণ লিপিতে
আমার মহাকাব্য লেখা থাকে
অন্তঃপুরের পৃথিবীতে।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন