স্বয়ংক্রিয় স্বাধীনচেতার মোড়কে এক নারী সত্ত্বা।
১. কবিতা: এবং একজন কবিতাগন্ধা নারী
মায়িশা তাসনিম ইসলাম
কেউ একবার বলুক, তুমি কবিতার মা
আমার একক শব্দ প্রসবিনী
ঝর্ণার মতো লিখতে লিখতে ভেঙে পড়বো পাথর-মরমে
দিনের নদীকে রাতের পরম সমুদ্রে একাই বয়ে নিয়ে যাবো।
কেউ বলুক, হে কবিতাগন্ধা নারী
তোমার বুকের গভীর খাদেই আমার মরণ!
সেই বুকের নামেই লিখে দিলাম সমস্ত জমির দলিল।
তখন নির্বিঘ্নেই হয়ে উঠবো মমতাময়ী মা, শব্দের রাঁধুনি!
ভাতের মত শব্দ মেখে মেখে খাইয়ে দিবো কবিতার সেই সন্তানকে।
কেউ যদি বলে, তুমিই কবি, আমার কবি...
যার শব্দের ভাঁজে ভাঁজে নিজের জন্য মারণাস্ত্র খুঁজি
আত্মহত্যা করে বেঁচে উঠি এক মসৃণ নরকে!
তবে তার জন্য অনন্তকাল ঝরাবো চোখের জমজম-অশ্রু
এই কবির কবিতার পাণ্ডুলিপিই হবে তার একমাত্র ধর্মগ্রন্থ।
২. কবিতা: হিপোক্রিট
মায়িশা তাসনিম ইসলাম
আমি তোমাকে কখনই প্রকাশ্যে চুমু খাবো না
এটা পাপ, বিশেষ করে সামাজিক পাপ
এবং নীতিবিরোধী আচরণ!!
আবার আমিই তোমার মত চুমু খাওয়ার দৃশ্যে বিচলিত হবোনা
ছি ছি করে উঠবো না।
তখন তুমি বলতেই পারো
"শালা আমার প্রেমিকা একটা হিপোক্রিট!"
আমি বলবো আমি আদর্শ বাঙালি নারী
এবং আমিই কবি।
দুজন যমজ হয়ে একই গর্ভে জন্ম নিলে তুমি শুধুই দেখবে আলোর মত অন্ধকার।
সেই অন্ধকারের নাম দিয়েছি মায়াবতী...
মায়াবতীর গর্ভেই জারজ সত্যেরা জন্ম নেয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন