১. কবিতা:
হে, অমৃতস্বরূপিনী
তনিমা হাজরা
পঙ্গু মন্ত্রধ্বনি গুলি অতিকষ্টে ঠেস দিয়ে দাঁড়ায় ক্লাচের উপরে, ভক্তি ভেসেছে বন্যায়,এখন আলোকমালারা শুধু গৃহহারা ফেরে দুয়ারে দুয়ারে।
তবে কার জন্য বোধনের আয়োজন?
ফণিমনসার পাতায় পেতেছি কাজল,সেদিন বোধহয় চন্দ্রগ্রহণ হবে,তোমাকে বলিনি চোখের পাতায় ছিল জোয়ারের জল, আজ ভাঁটায় সরে যাবে।কোজাগরী আগুনে কে চাপাবে ভোগের পরমান্ন আজ।
উদ্বাস্তু জানে গৃহ তার নেই কোনোদিনই। তবু কেন ছাত খোঁজে, চামর দুলিয়ে ঘুম পাড়ায় সংশয়? দেবীর ঘুম আসে না। কালি করাল বদনা, নগ্না যত মানবীর দল আজ ঘোর অমাবস্যায় মন্দিরে মন্দিরে প্রস্তরীভূত হবে।।।
২. কবিতা:
আগমনী
ত নি মা হা জ রা
শব্দে শব্দে দীপাবলি জ্বালি,
ক্ষমা চেয়ে নিই ধর্ষিতা বালিকাগুলির কাছে।
ঝরে গেছে যারা শিউলির মতো,
যাদের হাইফেন, কমা সব একদিন ভোরবেলা পূর্ণচ্ছেদ হয়ে যায়।
বর্ষার পর শরৎ আসবে বলে
পাড়ায় পাড়ায় বাঁশ পড়েছে,
ম্যারাপ বাঁধা শুরু হবে,
অথচ দুর্গাটি পেয়েছে ভয়
দুহাতে সবুজ শরীর ঢেকে রয়,
লজ্জার আঁচলে পড়েছে টান,
রক্তের দাগ লেগেছে শিশিরেভেজা ঘাসে।
বৃথাই জ্বালালো ওরা আলো,
বৃথাই করেছে ওরা বোধনের আয়োজন,
ঢাক বাজালেই কি আর
পায়ে হেঁটে পার্বতী মন্দিরে দুর্গা হতে আসে??
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন