বৃহস্পতিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৮

উমা পর্ব--১৬



১. কবিতা:

চাঁদের বারাঙ্গনা মুখ
--------------------------
   ~©জয়দেব মহন্ত

বসন্ত আঁকা মেহেদিপনায় বারাঙ্গনা মুখ
অপেক্ষার বেড-কভারে ময়ূর ভঙ্গি পা
লাশের চেয়েও নেকলেস চমক
অমাবস্যা গন্ধে চাঁদের কলঙ্ক মাখে।

আলোয়ানে আশ্রিত রাতের মোহরা দক্ষিণে
রক্তের নীল নিভে নুপুর খোলে
প্রজাপতি রং ঘাম জড়িয়ে দুধ-আলতা হলে
জিহ্বার সংমোহনে নরম আঁশ যাপন করে।

ডালিমের দেহ থেকে কামধেনুর রস
পর্ণমোচন করা নখচাপা সাধুবাদ
জেবরা লাইনে স্তম্ভিত অজগর চোখ
পাঁজরের মেরুস্কেপ কোমরে আহুতি ঢাকে।

লালার বিসর্গপনা আর মদনের ক্যালেন্ডুলা
কপালের মানচিত্রে টিপের বিনিময় রাখা থাকে।
--------------------------



২. কবিতা:

আমিও সরীসৃপের খোলস-

জয়দেব মহন্ত


অক্টেভারে পুরু ডাকফেরা রেশমগুটি
বৈভবের জাগরণে আঁচড় ভাঙে।
যে মতো প্যাপ্সিগাম ঠোঁট তালিকাশূন্য;

সমস্ত অঙ্গীকার ক্রমাগত শামুকের গম্বুজে-
পূর্বের লেপরাস কাজল টানা ঘননীল;
গ্লাস খানেক অচেনা চরিত্রের হামাগুড়ি
শান্ত টিপে কপালপুড়ে ছাই মাখে ।

উফ্ ! মিলিটারী বাতাসের পর্দা পাল্লার চৌকাঠে
নিম্নচাপে বোতাম শুকোয়।

সিলিং ভাংচুর্ ,কাকুলি রাতের লাভা-
জ্যোৎস্নার কাট করা গণিত মুঠো খানেক ইতস্তত।
পেয়ালা বেয়ে বাঁশিযাপন ভারচুয়াল ডিগ্রীর দিকে;
বিকৃত ফুল ভোরের ফ্যানা চুইয়ে
ম্যাজিসিয়ানের নখের ফাঁকে বিকলাঙ্গ হতে থাকে।

ট্রেনের পাতে বুনো আউচের রৌদ্র-
কান্নায় পরকিআ উড়ে দেয় দীর্ঘশ্বাস মেঘমুখে।
দোতলায় পোড়া কাক নিখুঁত ভাবে আমার অস্থি গুনছে;
চারমিনার থেকে একেক চরিত্র
বিনা মুখোশেই সামনা-সামনি দাঁড়িয়ে
সরীসৃপ হবার কৌশল খুঁজছে ডাস্টবিনে।
------------------------




৩. কবিতা

মৃত্যুর গুণিতক

জয়দেব মহন্ত


গৃহস্থ রং আর আলতা পা

ক্রমশ নদী ডুমুর তলা পালকের দিকে

বারোয়ারি অন্ধকার;

ছিলিমের দগ্ধলগ্ন পার করে

প্রজাপতি ডালিম সজনেলতা।


উফ্ !হিমগ্লোবিন খরনের সব ইমোগুলো

জলের মৃত প্রেমিকা ভাবনা

দুপুরের গা ঝড়া ক্লান্ত শরীর দিয়ে

ক্ষুধার্ত চিতার ক্যালেন্ডার

দু'হাতে ময়ূর তলে।


নকল করা জলসিপায়ের গাফ্

তেজা লন্ঠন চয়নিকা ভেদ করে

উলঙ্গ চোখে লতিয়ে ওঠে

আলপিনের অনুগত শতকার...

-----------------------


৪. কবিতা:

সুতপা

জয়দেব মহন্ত


টিপ থেকে বৈষ্ণবী বিকেল

দ্রৌপদী ওড়নার বউ বউ খেলা

হলুদ হয়ে আসছে সুতপা !


আমার শেষ পকেটের চিল ডাক

জোনাকি সন্ধ্যার  লালন চিহ্ন

তোমার খোপার ইফ্, আজানু কেশের বসন্ত

আলতা পায়ে বৃহস্পতি হবে


ভাঙা চৌকাঠ শ্যাওলা হতে থাক্ কৃষ্ণকলি...

-------------------


৫. কবিতা:

শিউলিযাপন

জয়দেব মহন্ত


হাওয়া বদলের শেষ লগ্নে তৃপ্ত আঁচল

আলতোক্ষরে কাছে ডাকতে থাকে ।


সিঁদুর রাঙা মেঘের নীলে মৃতগন্ধ

ঘনিষ্ঠ হতে চাইছে, কাশ-যূথিকার বোল,


রুগ্ন এক এক ফর্মা ছায়া আমার ললাটে

রক্তক্লেশে জেগে উঠছে মদিরার হসন্ত

রাত্রি জাগা ঐ পায়ে -


বিকৃত গন্ধ ঝরে পরছে আজানু কেশ বরাবর

আঙুলের ফাঁকে অপেক্ষার শেষ বিন্দু  নিমজ্জিত।


ভোরের অন্তরালে মিশে থাক্ পরিচিতা রাতঘুম

সাদা ঋতুর কাছে রক্তলগ্ন ফিরে এলে

শিউলি যাপনের দোহায় মুছে যায়।


--------------------------------





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন