বৃহস্পতিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৮

পদ্মজা--৫



১. কবিতা: স্নাতক

জয়দেব মহান্ত

আমার স্নাতক ডাকটিকিট ঝুলিয়ে
একপ্রান্ত বিনুনী তালিকায় বাঁধা।
বিরতিহীন উল্কার গন্ধ
ভাবেনি পস্টারিটি আবেগে
মুখলুকানো প্রতিবেশী
আমার অভিমানের পকেট কাটে
গান্ধর্ব ঘোমটা,
খিড়কির শ্যাওলা লকলকে নিঃশ্বাসে
ছোঁয়নি, কোলবালিশের হ্যাংলা মুখ।
পেনেটির মাঝে তখনও সুতপা
ঢলে পড়া গতিক নিংড়ে
ডাকছে,,,,,,


২. কবিতা: গাঁটছড়া

জয়দেব মহান্ত

ডুমুর ফুলের গাঁটছড়া বেঁধে
নিকশ্ করে খাচ্ছে অকাল।
খুচরো সকালের কন্ঠস্বর বিঁধে
ঢোলক বুনছে, ইস্পাতি বাউল।
কমলার সন্ধ্যেটা চলতি গর্ভবতী
মোচার কোলাজে গুটানো করুণ শ্রীমতি।

মুখফেরা দেরাজে পাতানো বিকেলের কুঁচি;
আঁতুরে সিগারেটের কোল ঠেসে-
জিরুতে চায়, সেতুর আঁচলে বুঝি।
লিপলেট রুগ্ন কাগজ, ছেঁড়া প্রেসে;
টানছে ইঞ্চি, হাঁপরের উসকানি আলতো ঝুলে,
কয়লাটিপে সুতপা, সন্ধ্যা রাখছে তুলে।


৩. কবিতা: তোমার গীতবিতান

জয়দেব মহান্ত

পলাবাঁধা এলোমেলো যে কয়েকটা
সম্পর্ক তোমার কাছে ইজারা চেয়েছিলাম।
বুদবুদে কাদা মেখে সবটা
হারিয়ে নব শ্রাবণ ধারায় হয়নি উদ্দাম।

আঁচড়ের স্পর্শটা জ্বলছে এখনও,,,,,

ডুবানো নোঙরে বিকেল সাজাচ্ছো?
দম্পতি মেঘের কার্নিশ বেয়ে,
গীতবিতান হবে, জলপিন্ডের পুচ্ছ
ব্লানচেটে হিজল স্পর্শ নোনতাদিন হয়ে

মিলিয়ে দিলে, অন্তর কন্ঠ! দাও,,,,,,

যাক্, এভাবেই বোলতা ভাবনারা
কুয়াশার ফ্রেমে ম্লান হবে।
আগন্তুক নিঃশ্বাসে মেকি উত্তরা
গন্ডপিঠ থেকে আমায় ছোঁবে।

তুমি কালান্তকে মিরান্দা হয়ে হবে উধাও,,,,,




৪. কবিতা: নভেলির ছাইপাশ

জয়দেব মহান্ত

নভেলির ধাঁচে আমার কিংডোম
শাসন চালায় নির্জন - আলাপচারিতা।

খানসামাদের গোলাবাড়ি গোধূলির দিকে নশ্বর,

চারিত্রিক জীবাশ্মে শাসক পর পর

আমার আঁতে, দেবাদূর ত্রিলজি
আলংকারিক গম্বুজ-
ছাইপাশ মাখিয়ে আঙুলময় আবছা।

যতটা পরিসীমায় জলবায়ু পরের পাতায়
লাঙল টেনে নদীখাত বোনে।
মধ্যরাতের ব্যাকডোরে সেলাম ঠোকে
অশরীরী প্রজা।



৫. কবিতা: তুই বা সান্ধ্য - পেনিক

জয়দেব মহান্ত

তোকে নিয়ে অনেকটা দিন ব্লেড আঁকা হয়নি
নিয়োগী পাতার গুচ্ছ খানেক ব্যাক ক্লিপ;
অন্যমনস্ক, লিপস্টিকের অর্ধচ্ছেদে
তোর কপাল ভাঁজ করে আউস ধানের টিপ।

তুই নিমপেথির সবুজটুকু শিষের তুষে বেহুল কর,,,,

ঘুমানো বালিশে মুখের বিকৃত সকাল
ভিজানো হাওয়ায় যেমনটা রোদ মাখে।
ফ্যারাশে তালুর বিপরীতে কাজলে টানা আঁচল
ঢেকে দেয় নিস্ফলক বিস্মৃতির ফাঁকে।

উচ্ছন্ন রুমালকাঁটার হিমগ্লোবিনে আমায় ধর,,,

আমি তোর গোলাপী মোহরের রক্ত তিল,,,,,
ভ্রূ উঁচিয়ে মুছে দেব সন্ধ্যা - পেনিক মিল।









কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন