নবমী
সুতনু হালদার
একটা শব্দের মতো অস্থির অথচ বাক্যের মতো দাম্ভিক, ভালোবাসার মতো দুরন্ত কিন্তু রোদের মতো কামার্ত শিরশিরানিগুলো পলেস্তারার নিত্যবৃত্ত অতীত
আমাদের ঘটমান বর্তমানে মিশে থাকে উমার নৈব্যক্তিক দীর্ঘশ্বাসের নির্যাস! পাশবালিশের মধ্যে জমিয়ে রাখা ক্রোধকে বহন করতে করতে একদিন অমাবস্যার হুক খুলে জানা যাবে স্তনাগ্রের খিদে...
রাস্তার বদল হয়! কৈলাস হেঁটে আসে জরায়ুর মুখে
ভালোবাসার শিউলি ঝরে গিয়ে আড়মোড়া ভাঙে নদীর স্রোতে, প্রতিরাত ধর্ষিত হতে থাকে - বৈদ্যুতিন বায়বীয় উচ্ছ্বাস; গতিজাড্যের যোজ্যতা মিশে থাকে মেয়েলি ঊরুসন্ধির নিঝুম প্রান্তরে...
যদিও অভিযোজনের জবানবন্দি দ্বিপাক্ষিক সমীকরণ হতে হতে শেষমেশ হয়ে যায় জ্যা উন্মুক্ত সুন্নত...
প্রতিটা অন্ধকারের আঁচলে লেগে থাকে উমার গন্ধ,
প্রতিটা কাশফুলের চুমুর জ্যামিতিক বিয়োজন রক্তের শ্রমিক সত্তাকে মনে করিয়ে দ্যায় বদলহীনতা!
ঘরে ফেরার থেকেও ঘরের মশারীতে ছোপছোপ দাগের প্রতিসরাঙ্ক রোদের প্রেমিক সত্তাকে ইশারায় ভালোবেসে ফেলে। উমারা ঘরে ফেরে, অথচ কোথাও কোথাও রক্তের কণিকারা উমা হয়ে থেকে যায় জৈবিক উপশিরার প্রান্তিক মুদ্রাদোষে, সূর্যের হীনবীর্য তেজস্ক্রিয় আলো প্রতিটা সংসারেই পরকীয়ার মতো চুমু খায়...
ফিবছর প্রতিটা নবমী নিশি রজঃস্বলা হয়ে পড়ে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন