১. কবিতা:
___উমা এলো ঘরে
সুনন্দ মন্ডল
লাল আলোর সংকেত,
ভাঙা চালায় খেজুড়ে আলাপ
মিষ্টতা কাশ ফুলের নাকছাবিতে
সুগন্ধ ওই কোণের শ্যাওলা ভেঙে
মহল্লায় সুর বেঁধেছে কানা মুনি
গলির বুকে আল্পনা
মহালয়ার ভোর
উমা নাকি এলো ঘরে
মাটির প্রদীপে জ্বলবে আলো
নাকি জ্বলবে মাটির বুক
-----------
২. কবিতা:
_____পক্ষকাল
সুনন্দ মন্ডল
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র সাজঘরে সেজেছেন
কন্ঠের তালিম শুরু হয়ে গেছে বাংলার আপনজনের
নাচের তালে সুরেলা গানের কলি
শরৎ যৌবনে পূর্ণ চাঁদের লহমা
বিল্বপত্রের কানাকানিতে ফুটেছে
ভোরের বোধনে দেবীর পক্ষকাল
জিতুয়া উৎসবে দেবী সেজেছিল
নয়া আদলে প্রাণের বিষণ্ণতা ভুলে
আজ নাকি মহালয়ার পুণ্য প্রভাত
কাঙাল পেতেছে চট প্রাসাদের শিরদাঁড়ায়
নগ্ন সমাজের পেটে লাথি
পূর্ণ ঘটে নীরব মানবিকতা
-------------
৩. কবিতা:
_____নারীই দুর্গা
সুনন্দ মন্ডল
লাল শাড়িতে তোমার শরীর
জড়ানো প্রেম অল্প আবেশ।
কানের দুল, ঝাপড়ানো চুল
মনের গলিতে দুরন্ত মেস।
রাতের আলোয় তোমার চোখ
নতুন মহড়া ক্লান্তি মেটায়।
স্বপ্ন লেপা হৃদয় চাতাল
সুর মিশেছে অজানা নেশায়।
সুডোল হাত নিটোল গাল
জমানো ক্ষীর পেটের পাশ
নাভির খাতা খোলা যখন
টানব ভাবি কলমে রাশ।
আর কিছুটা এগিয়ে গেলেই
যৌনকাম চরিত্রে জাগে
নিন্দাবাদী নিন্দা ছড়াক
ছুটব আমি নিজের বাগে।
দুর্গা জাগে দেবীপক্ষে
আমরা জাগি তোমায় দেখে
যখন দুর্গা নারী, নারীই দুর্গা
শাড়ির আঁচলে আদর মাখে।
-------------
৪. কবিতা:
_____চোখ
সুনন্দ মন্ডল
অঞ্জলিতে পাঞ্জাবি বেস্ট
ধুতির কাছাও টাইট হবে।
তোমার হলুদ পাট্টা শাড়ি
গোড়ালি ঢাকা মাটি ছোঁবে।
ব্লাউজ সটান পিঠের ওপর
একটি রেখার মতোই যেন।
কোমল ত্বক থাকবে জেগে
মত্ত গ্লাসের যুবক মানো।
বুকের ওপর ছড়িয়ে মেঘ
বৃষ্টি নামুক শরৎ ঘাসে।
আকাশ একটু হিংসে করুক
বর্ণ গাথা পুজোর মাসে।
ঠোঁটের আবির নামটা জানি
লিপস্টিক হয়তো বলে।
কথারা ক্লিপে আটকে যেন
মাথার ওই ঘন চুলে।
মন্ত্র পরে পুরুত মশাই
অঞ্জলি দিই ঠাকুর মা'কে।
তুমিও দেখ আমার পাশে
চেয়েই থাকি মায়ের চোখে।
------------
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন