ক্রমশ
মধুরিমা মণ্ডল
★*************★
একটা ট্রেন গড়িয়ে যাচ্ছে তেতলার কড়িকাঠ বেয়ে।
আমি ডুবে যাচ্ছি অচেনা গহ্বরে,
চ্যাপটা হচ্ছে শরীর
প্রতিটি ওভারব্রিজইই দুলতে চাই
কেউ ট্রেন পায় কেউ ---- দেখা ;
তারপর থেকে আমি চশমা খুলি না।
অশরীরী -০
পলাশ চৌধুরী
★**************★
বয়স নিয়মে বাঁধা মেয়েরা প্রলেপে মুড়াই
অথচ তরলবৎ ক্ষুধারা চরম হলে রতিময় কুম্ফু।
ত্রিপান্ত শরতে মোড়া মনিকাঠে শ্যাওলা
নাভিতে গরীব হলে মাতাল কজ্জলে গুণ্ঠন ছাঁকা।
নুইবে আষাঢ় রোগে বোতামঘরের ফুটো
তমসা নিবিড় জ্বালা পূজারী পূজারী ডাকে।
অশরীরী -১
পলাশ চৌধুরী
★**************★
সকলজন্ম দিয়ে, পুষেছি প্রেমিকা দায়
ট্যাবু ট্যাঁস ট্যাঁসে, বোনে সূঁচের সূচীর তালায়।
কাছে আসে যারা, কে বলে তারাই প্রেম?
ক্যাঁচরম্যাচর করা ক্যাকটাস যারা,যুবতি তারাও হয়।
গভীর জ্বরেতে যারা, এখনো শ্রাবণী চায়
যাপিত নরমে আজও, তারাই তারাপথ হয়।
রাতকাহন
পলাশ চৌধুরী
***************
ধরো আমি তোমার সারা শরীরে হাত বুলিয়ে দিচ্ছি। ফেটে যাচ্ছে সকল মাংসল পেশী,দৃঢ় হচ্ছে বৃন্তদ্বয়।
এবার ভালবাসবে? নাকি বলবে অবিশ্বাসী ভয়??
আমি নরম কামড়ে চরম হয়েছি
কামড়াবো কামঘর ;
সুগন্ধি দাও সুগন্ধি দাও, মুছবো সকল পুঁজঘর।
তুমি পাশবালিশে বুক ঘষে ঘষে বলে যাও শুধু আমি নই কামখোর,
আমি একাই নাহয় নরক ঘাঁটবো তুমি শুদ্ধ থাকো রাতভোর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন