বৃহস্পতিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৮

পদ্মজা--১



মেন্সট্রুয়েশন্

...... সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরাম কেদারায় হাঁটুর উপর হাঁটু রেখে জ্বলন্ত চুরুট,
অবগাহন সেরে প্রবেশ সঙ্গীনির দিকে পলক,
তৈলাক্ত গাত্রে ফোঁটা-ফোঁটা  জলবিন্দু ধরে যায়,
দর্পনের সম্মুখে দাঁড়িয়ে
কেশ নিয়ে ক্রীড়া ও সৌন্দর্যের মাপ-ঝোপ চলে,
বুকভাঁজ থেকে উরু অবধি ভেজা ন্যাপকিন্,
ঢাকা গেছে কোমরের নীচের সেই তিল যৌবনের অলংকার গুলো ।
বিলম্ব নয় তাই এগিয়ে পশ্চাত্ থেকে বাহুদ্বয় দিয়ে গাঢ় আলিঙ্গন,
কাঁচে চোখে চোখ পড়তেই লজ্জায় মুখ নামে,
ঘুরিয়ে দেওয়ালে পিঠ সেঁটে গভীর চুম্বন.......
মেঝেতে আবরণ ছুঁড়ে ফেলি
উপর থেকে চুমু দিতে দিতে.. হঠাৎ থামিয়ে দেয়,
মেঝেতে তাকিয়ে দেখি সান্দ্র তরল।

তলপেট চেপে শুয়ে থেকে
আবদার পূরণ,
দিব্যি দিয়ে গলায় খাবার নামে,
এভাবে স্নেহাদরে
মেন্সট্রুয়েশন্ ব্যাথা যেন শূন্য হয়....।।




প্রণয় ও প্রোজেস্টরন

...... সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়।


টগবগে যৌবনের প্রণয়ী,
অফুরন্ত বসন্তে, স্যাঁতসেঁতে শাড়ির বাঁধন খুলে যায়,
কর্ণের লতিতে ঈষৎ কামড় পড়তেই...
উষ্ণ !!
ফ্রিজের রাতে মদ্যপূর্ণ বোতলে-র গায়ের মতো ঘর্মবিন্দু নিমেষে জমা হতেই
নেশা লাগে,
লোডশেডিং এর দেশে
জ্বলন্ত মোমবাতির সাথে সাথে গলে যায় যত দুঃখ ।

গলা থেকে দু-ইঞ্চি নিম্নদেশে  যৌবনে প্লাবিত হওয়া দু-পাশে উঁচু পাড়ের মাঝে মাথা চেপে ধরে।
লালা দিয়ে বুক নালীর এপার-ওপার,
নাভির জোয়ার-ভাঁটা আছড়ে পড়ে উপরের দেহে, ...
তৃষ্ণার্ত রাতে
আঁকড়ে ধরে মাতোয়ারা হয়ে কেটে কেটে বর্ণমালার উচ্চারণ -
উমম-আহ্হ্হ্ -হুঁ-আ-রো-কা-ছে !!!
সোহাগ স্পর্শে যোনিপথ যেন সুপ্ত গোলাপের পাঁপড়ি,
অহংকারে বুক চিতিয়ে দাঁড়ায় রোঁয়া।
নীচ-উপর
উপর-নীচ...
ক্রমশ জাপট ও ফোঁপানি...
প্রণয় মিটতেই চাই না,
শিহরণে চলতে থাকা টিক্ টিক্ শব্দে আরও মিনিট কুড়ি ওলট-পালট,
এলোমেলো চাদর
ঠোঁটে-ঠোঁট
নিষ্ঠীবনের গারগেল
শেষমেশ চার দেওয়াল ঘুম আঁকে চোখে......।


এখন রাত হলেই
দু - চারটে লাথি ও
পাঞ্জরভাঙা কষ্টে উদরে হাত মালিশ করে দিতে হয়।
তিল তিল করে বড়ো হয় ভ্রূণ,
ছেলেমানুষি করে বাইরে থেকে কথা বলে...
কতশত আদুরে সম্বোধন !
আঁশটে প্রোজেস্টরনের ঘ্রাণ নিতে নিতে কখন যে প্রণয়ী ঘুমিয়ে পড়ে
বুঝে উঠতে পারি না......।।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন