সংযম
সৌরভ বর্ধন
এমনভাবে হাত ধরে থাকো যাতে সবাইকে বলা যায়
সমস্ত আইনকানুন মানা যায়
এমনভাবে হত্যা করো আমায়
ওইসব কঠিন দিনের সংযম, বেওয়ারিশ সংলাপ
বারংবার নিজস্বী হতে থাকুক আমাদের উদযাপনে
এই পরিকল্পিত শহরের গলির মুখে মুখে
টু ক রো টু ক রো এনামেল লেগে থাকুক উত্তপ্ত আদিখ্যেতায়
বাড়ি খোঁজার মরসুম শেষ :
আমি এখন উথাল-পাতাল, এখন আমি শব্দহীন মেরুদেশ
তোমাদের গায়ত্রী ছন্দ বহুদূর সবিতার বুকে একবার
ধুকপুক তুলতে পারলেই আমাকে সম্পূর্ণ শুষে নেওয়া সম্ভব
পরিপূর্ণ বিনিময় করা সম্ভব কাঠগড়ায়...
লেবুফুল গর্জে উঠলে
সৌরভ বর্ধন
মাটির ভেতর তীব্র কাচ ধরে রাখি, ফলে ক্ষতরোগ
অবিমিশ্র সিঁড়ি বেয়ে তরল চুম্বন, গলাগলা ভাত যেমন থাকে
আমি সাদা হয়ে যাই তেমন তেমন কঠিন শোকের আগে
পরে মৃত চালের ভাষান্তরে ক্ষুন্নিবৃত্তির কথা ভাবি
আকন্ঠ সাহস পান করে জেগে থাকি যুদ্ধবিরতির কাছে
চাঁদ যেন গলে পড়ছে, ওকে আতর দিয়ে কেউ ধরো...
কেউ কেউ তো বলো, একটা অমোঘ কারণ, কেন
লেবু ফুল গর্জে উঠলে কারো কিছু যায় আসে না
অথচ গোলাপের চেয়ে বেশি নির্বিকার হলে মেঘ ডাকে!
আমি তো অবান্তর ঘষতে ঘষতে এসে গেছি চটির তলায়
জোয়ারের দরজা ডিঙিয়ে কাঁঠালতলা, কলপাড়, উনুন
ব্লাউজের মতো ঝুলে থাকা দড়িতে হাতের দোসর হাত
অমীমাংসিত রমণীর বুকে পেসমেকার রেখে রোজ
শুনি কুল পতনের শব্দ, প্রতিদিন ঝরে যায় পাতার মুখ,
অপেক্ষার সংজ্ঞা শিখতে গিয়ে আমাকেও মাকড়সা
হতে হয়, এতোটা পথ দু পায়ে সম্ভব নয় জেনেও মানুষ
বাষ্পবার্তা
সৌরভ বর্ধন
নিছকই কাল্পনিক সমুদ্রের দিকচক্রবাল থেকে
এখনি বিমুক্ত হবে সকল ঘাস, উল্লসিত ফুটকির স্রোতে
খোলামেলা এক অসহ্য গন্ধ মিশ্রিত ফুলের রস,
আতঙ্কিত উলুধ্বনি মিশ্রিত গজল - ভেসে আসবে
আরাম করে বসে থাকার দিন ফুরিয়ে এলে
অন্ধ কানাই রক্তস্রোতে জীবাশ্ম ধারণ করবে,
ডেলি প্যাসেঞ্জারি করবে তাঁর মৃত স্ত্রী এবং সন্তান
এরপরে যতটুকু না বললেই নয়, ততটুকু
লটারি করলেই একটা অবয়ব পূর্ণতাপ্রাপ্ত জলাশয়
তেমন ঠোঁট পেলে মনে করো বর্ষা রাত
কাছেপিঠেবুকে মেঘের ছবি বাজায় একাগ্র টাইপিং
সন্তর্পিয়া কাছে আসো তুমি : আঙুলে আঙুল ঢুকেছি,
বাষ্পযাত্রী ব'লে কাছে ডাকোনি, মিশে গ্যাছো বারবার
ছলে বলে অন্তরীক্ষে ; উড়ে গ্যাছো শুধু একবার শূন্যে
আহা!দারুণ... পরিণত ভাবনার শব্দসাজ...
উত্তরমুছুনApurbo lekha, saurav
উত্তরমুছুনDurdanto laglo vai..Taniyadi
উত্তরমুছুন