শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০১৯

অনুরূপা পাল চৌধুরী

১তোড়া ক্রুশকাজলের গোলাপজল

অনুরূপা পালচৌধুরী


                    ১.

বেশ তো গলে যাচ্ছো নদীগর্ভে
অসময়ের বর্ষায় পা ডোবে না : ভিজে ওঠে বসতবাড়ির ফাটা গোড়ালি
খুঁড়তে খুঁড়তে তুমি এখন ধারালো চাঁদ
উষ্ণতা মাখছি বরফের মুখে

মুখোমুখি

একি! তুমি কাঁদছো?


                       ২.

যা কিছু হিসাবঘর : গোপন ছায়ার সূর্যবশ
হয়তো বাদামি বন্দুকেই বেয়োনেট কমণ্ডলু
সঙ্গমের চোখে একচেটিয়া ভোরের জরায়ু
প্রসব করি বরাদ্দ আঙুরের উপবাসী রক্তমাংস

আমার প্রতি____
রক্ত০-তা ইদানীং সহানুভূতিশীল


                      ৩.

জখম ভাতের দোলাচল : মরচে মাটির লকআপ
চড়া দামের চড়ুইভাতি ভিজচ্ছে
উলোট মেঘের জানলায় জানলাম তুমি শুদ্ধ কক্ষতল
ক্ষুধার্ত ডায়াল ঢুকে যাচ্ছে অস্থির অর্কিডে

নির্বাসন?

তোমাকে আমি দেইনি


                     ৪.

বেসামাল ঘন দুপুরের লাশগুলো চিবিয়ে খেয়েছি প্রতিরাতে
পাথেয় পতাকার সমর্থন : জড়ো করি আগুনের আবর্জনা
মৃত্যুর কিছু ওপারে দাঁড়াও মুখোশের উৎসবে
কুয়াশার মনোপলিতে অস্থিগুঁড়ো ঢালি

ঢলঢলে দূরবীন। দূরবর্তী
আজো ভালোবাসো বলছো?


                      ৫.

জংধরা ঘড়িসাঁতারে আলগোছের ঘুমটা ভাঙ্গতে চায় না কিছুতেই
অক্ষত আচলের ভাঁজে মুছে ফেলি গাঢ় শ্যাওলার সুদীর্ঘ চোখ
পাশ ফেরা নদীর ফেরারী ধনুষ্টংকার
ঠোঁটপতঙ্গ : কাগজী পদ্মের তলপেট

এখন প্রশ্নহীন প্রশমিত খড়িমাটি
এসো চুমু খাই প্রত্যঙ্গ জুড়ে....



চিতমাগুর : খোলতাই pic (আ)চার
অনুরূপা


বিছানার ছানায় উল্লাহে দেহবাদ

পালিয়ে বুঝি পালকি ছোঁয়া যায়

সহজলভ্য আগুনের সীমানাগুচ্ছ

ইচ্ছার শেষটা যদি লালমাংসের জানলা হয়

কত আলো মাখলে : অভিশাপ দিই না

ও আঙুলে সাহিত্য হয় না। খোলস জন্মায় প্রতিরাতের সাদা চামড়ায়

প্রতিনিয়ত ফুলের ধর্ষণ : নষ্ট পরাগের পালিত পলিঘুম

আলটিমেট ইউ আর দ্য ডিরোগেটিভ হুডলাইসেন্স

জমাচ্ছি সময়। আগন্তুক রাতের ভোরাই

অজস্র নীতি ঝড়ছে বেগুনগাছে : খারিজ বর্শার বৈঠকখাতির

মুখোশের মুখোমুখি : করুণা হয়

ভাঙা আয়নায় বৃষ্টি ধরো। হিসহিসে জলে ফুটপাতের ছাতায় ছত্রপতি দেওরা

পাতা চাদরে পরিত্রাণ নি u মে ri ক  হা ডুডুমাটি

উঁহু রতিচাটি। চাটিপাতা মেঘ ভেজে

ম র ণ ম রণ রম ণ। ও মুখ লিকলিকে চাতালে আঁঠাল জিভকাঠি  চোষে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন