নব্য
সপ্তর্ষি মিষ্টু বসু
অস্থির নিরাপত্তায় পুড়িয়ে দিলে
প্রাচীন হাজার শ্লোকের কল্প অভিধান-
ব্যবহারিক গতি-বিধি,নিয়ন্ত্রিত রীতি-নীতির
সামাজিক পূর্ণাবয়ব নির্বিশেষে প্রগাঢ় প্রেমানলে
ভাসতে থাকে কোজাগরী ধোঁয়া সম্পৃক্ত বাতাসে
সুললিত আতরের ঘ্রান মাখা উদ্ভাসিত জোছনা
মাঝে ভিড় করে অনাদি অপেক্ষমান লাখো জীর্ণ
যুগ্ম ছায়া,হৃদয় গহীনে অতৃপ্তির কালশিটে
রেখা ধুয়ে এগিয়ে যেতে বর্ণিল প্রেমের দিগন্তে…
ডেকোনা ওদের,উলু দাও,
শঙ্খ লেগেছে মনে মনে।
রূপকথা
সপ্তর্ষি মিষ্টু বসু
তোমার বর্ণনায় যে সমস্ত ফুল ফোটে,
তার চারপাশে আমি আমার রঙের প্রজাপতি
এনে রাখি কোলাহলে বাঁধি ছন্দবদ্ধ ভ্রমর
নদীর ছলাৎছল,আর দূর থেকে কামুক বাতাস ডেকে
এনে ছড়িয়ে দি এষণা পাড়ার মেঘ,
বৃষ্টি হয় কিছুক্ষণ...
ঠাণ্ডা হয়ে যায় কফি,
হলুদ আলোর বেণী খুলে কাছে এসে দাঁড়ায় বিকেলের রোদ
তোমার চোখের তারার উচ্ছলতায় আনমনে আঁকতে থাকি
জোনাকির আলপনা,লাল বাড়ি,নীল জোছনা,ঘোড়ায় টানা গাড়ি..
ঝরতেই তুমি থাকো,বলতেই থাকো,
আর ভিতরে ভিতরে আমি আয়োজন করি রূপকথার গৃহপ্রবেশ...
ইচ্ছা অনুপ্রবেশের
সপ্তর্ষি মিষ্টু বসু
তুমি আকাশ পাতাল ভাবতে ভাবতে দুটো নদী এঁকে দিয়েছিলে
দূর প্রান্তরে যেখানে কালো মাটি লাল মাটির হাতে ব্যাটন
তুলে এগোতে বলেছিলো,তার ঠোঁটের গোড়ায়
টই টই নীলাভ জলে মিঠে বাতাস আলপনা আঁকতে আঁকতে
মাছের সাথে গল্প করছিলো,আর চাঁদের ছিপ ধরে নেমে
আসছিলো একটা একটা করে তারা,তাদের দ্যুতিময়
বিশাল বিশাল শরীর কেমন যেন ঠিক নদীর বুকে
আংটির মতো বসে যাচ্ছিলো মাপে মাপে,শুকনো পাতার
ভেলায় কালো পিঁপড়ের রথে চড়ে জড়ো হচ্ছিলো খুশির অসুখ,
হুলস্থূল,হৈহৈ উৎযাপন শুনে আমারও বেদম উত্তেজনায় নীল জোনাক
পিঠে চড়ে যেতে ইচ্ছা করছিলো আহ্লাদী সুরের জোছনা উপকূলে
প্রাণের কলস ভরে নিতে চাইছিলাম খুব অপার্থিব মোহনার নিভাঁজ তরঙ্গে;
কিন্তু হায়!তোমার গহীন হৃদয়ের অবগুন্ঠিত সড়কের সংকেতই যে আজ পর্যন্ত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন