দূর থেকে স্বর্গ দেখি কালো◆
দীপঙ্কর।(another Valentine)
ঝকঝকে স্ফটিক চূড়ায় পারদ আকাশে ওড়ে না,
গায়ে মেখে তুষার কুচি ঘাসে ঘাসে হীরক ঝরে
স্বপ্নে দেখি উপত্যকা জুড়ে দ্বাদশীর চাঁদ হেসে গেয়ে লুটোপুটি.... স্বর্গ লোক অপ্সরীর পদচারণায় নেশাগ্রস্থ টলোমল
ঢেউ ঢেউ মাটিতে শিশু হাসে খালি পায়
কোন সুদূর অতীতে দেবতা ছেনি হাতে গড়েছিল সুঠাম সূর্যমুখী পুরুষ....বুনেছিল পশম পরম মমতায়....
এঁকেছিল দিগন্ত শুভ্র মুকুট শোভায়
আদমের দেশে অমৃত ফল পরশে জেগেছিল প্রেম কোনো এক ফাল্গুনি সন্ধ্যায়
বকুল গন্ধী নরম মিথুন কন্যায় ঝর্ণা বয়ে যায় আজও সে উন্মাদনায়
ঘরে খিল দিয়ে বসে থাকি ত্রাসে, ও চাঁদ এখনো আলো দেয়... মোম জ্বেলে আঁধার ঘোচাই....কালো রাত শুধুই প্রাণ খায়.... জোনাক ঢুকেছে ফাটা মাইনের গহ্বরে...
গোলাপ ছাপিয়ে বারুদ ভেসে বেড়ায়....
দূরে গ্রাম জুড়ে বসন্ত নামে প্রজাপতি পাখায়, লাল সিঁথি অপেক্ষার হলুদ মাখে যৌবন জ্বালায়
স্বামী গ্যাছে পাহাড় পাহারায়....
চাঁদ ঘরে বিনিদ্র রাত জাগে
অগাস্টের পতাকা বুকে কাঁপন ধরায়...পত পত স্থির হয় বুঝি লহমায়
মুড়ে কফিন আধাখানা শরীর দেখানোর
কে দিল ও'কে দায়....!!
মরোনোত্তর পরমবীর চক্র....করতালি....কর কর করে চোখের তারায়....
বায়ু কোণ
দীপঙ্কর
পাহাড়ের ঢাল বেয়ে বসন্ত এসেছে বটে, মনে প্রবল শীত, কুঁকড়ে যাচ্ছে লাব-ডুব হৃদয়।
চোখে পলাশ, নাকে আবীরের চেনা গন্ধ, খাঁচায় থকথকে কালো কান্না....
বুক ফুটুক না ফুটুক... উত্তর পশ্চিমে বুলেট ফোটে অবিরত।
সেই কবে চেঙ্গিস এসেছিল ও পথে, ঘোড়া টগবগ, চোখে সুরমা, কানে আতর, হাতে বাঁকা তরবারি.....
নাদীর শাহ্ গিয়েছিল নিয়ে কোহিনুর ও পথে....
ছড়িয়ে ছিটিয়ে চকচকে লোভী বীর্য অসহায় অবলা নাভিশঙ্খে, মধ্য প্রাচ্য উদ্দাম নেচেছিল হায়না হাসিতে....
শুনেছি কচুরীপানাও নাকি ওমন ভাবেই ঢুকেছিল আকাশ পথে, অমাবস্যা জলে সূর্য প্রবেশ রুধিবারে....
দলে দলে শ্রাবণ ধারায় অঝোরে ঝরেছিল শক হুণ পাঠান আর মোগল ঐ অভিশপ্ত বায়ুকোণে ..... ভেঙেছিলো সদর দরজা ইন্দ্রপ্রস্থের সাতনুটি দাঁতে কাটবে বলে....
সিংহাসন হতে লাফিয়ে নেমেছিল স্বয়ং আলেকজান্ডার ঐ ওখানেরই ঝিলাম জলে....
কোন ঊষাকাল হতে ভারতমাতার লাঞ্ছনায় ব্রতী ও এক বিভীষিকা ময় হিংস্রতা ভরা লোভী দাঁতের পদচালনায় অভিশপ্ত ভরা ভূমি পথ
ওখানে ধূ ধূ বালি আর সাদা সাদা বরফ চিতা সাজিয়েছে নিজে হাতে করে....
তুমি কি আজও তা চিনতে পারোনি মেয়ে!!
তোমার সম্ভ্রম শুধু ও পথেই বারবার হয়েছে পদানত,
পি.ও.সি. তো বায়ু কোণেই বোধহয়!!
ওখানের লাল সাদা টিউলিপ বাগিচায়....
ঠাকুরাণী তোমায় শুধুই ঝুলির বেড়াল ছানা দেখায়....
মনে ভয়, শুধুমুধু ছেলে গুলো কেন হাজার বছর ধরে......ছিন্নভিন্ন হয়
কেনই বা শুধু মর্জিনাদের কথায় মোস্তাফার দল বৃথাই ও নীল পাপড়ি
জোড়া দেয় !!
যে ফুল ঝরে যেতে চায়....তাকে কি বুকে চেপে আগলানো যায়.... ??
সাদা সাদা হিমালয় চূড়া লাল লাল রক্ত মেখে গায় অবিরাম অবোধ সন্তানে খায়....
আপেলের গাছে দেখি থোকা থোকা ফলে আছে তেরঙা কফিন....পেটে তার প্রেয়সীর ছিন্নভিন্ন অর্জুন ঘুমায়....
দীপঙ্কর।(another Valentine)
ঝকঝকে স্ফটিক চূড়ায় পারদ আকাশে ওড়ে না,
গায়ে মেখে তুষার কুচি ঘাসে ঘাসে হীরক ঝরে
স্বপ্নে দেখি উপত্যকা জুড়ে দ্বাদশীর চাঁদ হেসে গেয়ে লুটোপুটি.... স্বর্গ লোক অপ্সরীর পদচারণায় নেশাগ্রস্থ টলোমল
ঢেউ ঢেউ মাটিতে শিশু হাসে খালি পায়
কোন সুদূর অতীতে দেবতা ছেনি হাতে গড়েছিল সুঠাম সূর্যমুখী পুরুষ....বুনেছিল পশম পরম মমতায়....
এঁকেছিল দিগন্ত শুভ্র মুকুট শোভায়
আদমের দেশে অমৃত ফল পরশে জেগেছিল প্রেম কোনো এক ফাল্গুনি সন্ধ্যায়
বকুল গন্ধী নরম মিথুন কন্যায় ঝর্ণা বয়ে যায় আজও সে উন্মাদনায়
ঘরে খিল দিয়ে বসে থাকি ত্রাসে, ও চাঁদ এখনো আলো দেয়... মোম জ্বেলে আঁধার ঘোচাই....কালো রাত শুধুই প্রাণ খায়.... জোনাক ঢুকেছে ফাটা মাইনের গহ্বরে...
গোলাপ ছাপিয়ে বারুদ ভেসে বেড়ায়....
দূরে গ্রাম জুড়ে বসন্ত নামে প্রজাপতি পাখায়, লাল সিঁথি অপেক্ষার হলুদ মাখে যৌবন জ্বালায়
স্বামী গ্যাছে পাহাড় পাহারায়....
চাঁদ ঘরে বিনিদ্র রাত জাগে
অগাস্টের পতাকা বুকে কাঁপন ধরায়...পত পত স্থির হয় বুঝি লহমায়
মুড়ে কফিন আধাখানা শরীর দেখানোর
কে দিল ও'কে দায়....!!
মরোনোত্তর পরমবীর চক্র....করতালি....কর কর করে চোখের তারায়....
বায়ু কোণ
দীপঙ্কর
পাহাড়ের ঢাল বেয়ে বসন্ত এসেছে বটে, মনে প্রবল শীত, কুঁকড়ে যাচ্ছে লাব-ডুব হৃদয়।
চোখে পলাশ, নাকে আবীরের চেনা গন্ধ, খাঁচায় থকথকে কালো কান্না....
বুক ফুটুক না ফুটুক... উত্তর পশ্চিমে বুলেট ফোটে অবিরত।
সেই কবে চেঙ্গিস এসেছিল ও পথে, ঘোড়া টগবগ, চোখে সুরমা, কানে আতর, হাতে বাঁকা তরবারি.....
নাদীর শাহ্ গিয়েছিল নিয়ে কোহিনুর ও পথে....
ছড়িয়ে ছিটিয়ে চকচকে লোভী বীর্য অসহায় অবলা নাভিশঙ্খে, মধ্য প্রাচ্য উদ্দাম নেচেছিল হায়না হাসিতে....
শুনেছি কচুরীপানাও নাকি ওমন ভাবেই ঢুকেছিল আকাশ পথে, অমাবস্যা জলে সূর্য প্রবেশ রুধিবারে....
দলে দলে শ্রাবণ ধারায় অঝোরে ঝরেছিল শক হুণ পাঠান আর মোগল ঐ অভিশপ্ত বায়ুকোণে ..... ভেঙেছিলো সদর দরজা ইন্দ্রপ্রস্থের সাতনুটি দাঁতে কাটবে বলে....
সিংহাসন হতে লাফিয়ে নেমেছিল স্বয়ং আলেকজান্ডার ঐ ওখানেরই ঝিলাম জলে....
কোন ঊষাকাল হতে ভারতমাতার লাঞ্ছনায় ব্রতী ও এক বিভীষিকা ময় হিংস্রতা ভরা লোভী দাঁতের পদচালনায় অভিশপ্ত ভরা ভূমি পথ
ওখানে ধূ ধূ বালি আর সাদা সাদা বরফ চিতা সাজিয়েছে নিজে হাতে করে....
তুমি কি আজও তা চিনতে পারোনি মেয়ে!!
তোমার সম্ভ্রম শুধু ও পথেই বারবার হয়েছে পদানত,
পি.ও.সি. তো বায়ু কোণেই বোধহয়!!
ওখানের লাল সাদা টিউলিপ বাগিচায়....
ঠাকুরাণী তোমায় শুধুই ঝুলির বেড়াল ছানা দেখায়....
মনে ভয়, শুধুমুধু ছেলে গুলো কেন হাজার বছর ধরে......ছিন্নভিন্ন হয়
কেনই বা শুধু মর্জিনাদের কথায় মোস্তাফার দল বৃথাই ও নীল পাপড়ি
জোড়া দেয় !!
যে ফুল ঝরে যেতে চায়....তাকে কি বুকে চেপে আগলানো যায়.... ??
সাদা সাদা হিমালয় চূড়া লাল লাল রক্ত মেখে গায় অবিরাম অবোধ সন্তানে খায়....
আপেলের গাছে দেখি থোকা থোকা ফলে আছে তেরঙা কফিন....পেটে তার প্রেয়সীর ছিন্নভিন্ন অর্জুন ঘুমায়....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন