মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৯

পল্লব রায়

রঙ ও প্রণয় সংখ্যা:


রক্তিম যুবতি পলাশের দোহন

সৌরভের শিখায় দগ্ধ প্রণয় সখা

রংমিলান্তি সোহাগে সজনী ফাগুন



কা‌লো সূ‌র্যের দিন

পল্লব রায়

বেদরদি গ্রী‌ষ্মের দাবদা‌হে পুড়‌তে পুড়‌তে
আজ এ হৃদয় এতটাই মরুময় হ‌য়ে গে‌ছে
‌যেন বু‌কের উপর দি‌য়ে এক‌শো একটা নীল নদ ব‌য়ে গে‌লেও
আমার একটুও তৃষ্ণা মিট‌বে না ,
সাত‌টি আকাশ বৃ‌ষ্টি উপুড় ক‌রে ঢে‌লে দি‌লেও
আ‌মি এক চুমু‌কে সাবাড় ক‌রে নেব ন‌স্যি প্রমাণ!
‌কিছু‌তেও বু‌কের পাষাণ গল‌বে না,
ওঙ্কা‌রে মাথা তুল‌বে না এক‌টিও শস্যের অঙ্কুর!

আমার হৃৎ‌পিণ্ড জ্বলে ও‌ঠে দাউদাউ ক‌রে
যখন দে‌খি
এক মহাকা‌ল বিষা‌দের চিতায় চিৎ হ‌য়ে উলঙ্গ শু‌য়ে আ‌ছে মানু‌ষের সভ্যতা !
স্বপ্নহীন, প্রশ্রয়হারা দুটি চো‌খ
অসহা‌য়ের ম‌তো জ‌লের দাবান‌লে পু‌ড়ে পু‌ড়ে ছাই-ভস্ম হ‌য়ে উ‌ড়ে যায়!
অনন্ত অন্ধকার থে‌কে ধে‌য়ে আসা এক দমকা বাতা‌স
আচমকা নি‌ভি‌য়ে দেয় সুখবা‌তি,
আ‌মি মু‌ঠোয় চে‌পে ধ‌রি বি‌ম্বিশার ধূসর আঁচল!

আমার শিরদাঁড়া বে‌য়ে ব্রহ্মতালু‌তে উ‌ঠে আ‌সে দুঃসময়ের বিষ
মৃত্যু আমার উশকো-খুশকো চু‌লে সান্ত্বনার আঙুল খেলায়,
‌প্রণ‌য়ের বিছানায় জ‌মে ও‌ঠে বির‌হের কানামা‌ছি
সু‌খের না‌মে এই  প্রশস্ত বু‌কের ক‌ফি‌নে জ‌ড়ো হয় ভ্রূণ হত্যার দায়!
আ‌মি অ‌ক্লে‌শে হে‌সে উ‌ঠি
যখন দে‌খি
ঈশ্বরও প্রার্থনার অজুহা‌তে মানু‌ষের ম‌তো
রাত এ‌লেই বিশ্বা‌সের পিদিম নি‌ভি‌য়ে পাগ‌লের ম‌তো গ‌ণিকাল‌য়ে ছু‌টে যায়!

‌অথচ তু‌মি বল‌ছো ভা‌লোবাসা, তুমুল ভা‌লোবাসা চাই
হাসনা ফু‌লের গ‌ন্ধে শঙ্খ লাগা যুগল সা‌পের ম‌তো বেপ‌রোয়া ভা‌লোবাসা!
জীব‌নের মরুকা‌বেলায় মিল‌নের শ্রমজ‌লে নবা‌ন্নের আঘ্রাণ রচনা
বড্ডবে‌শি দুঃস্ব‌প্নের ম‌তো ম‌নে হয়!

‌প্রিয়তমা,
তোমার বু‌কের গন্ধমাদনে আ‌ছে কি এমন কো‌নো বিশল্যকরণী
যা খে‌লে ভা‌লোবাসার তৃষ্ণায় জর্জ‌রিত আমার আসমুদ্র হিমাচল
আবার সবুজ হ‌য়ে ও‌ঠে ফু‌লে ফস‌লে
অথবা আমার বিশ্বাসী হৃদয় দুই‌ঞ্চি নির্ভরতার উর্বর মা‌টি পায়
তার দু‌টি পা‌য়ের তলায়?
এখন কা‌লো সূ‌র্যের আ‌লোয় ফো‌টে নতুন সকাল
সম‌য়ের গর্ভবতী কলম
আমার মৃত্যুর চিরকুট লি‌খে দেয় রক্তশূন্য কৃষ্ণচূড়ায়
আর আমার শরী‌রের ভা‌ঁজে ভা‌ঁজে জন্ম নেওয়া স্ব‌প্নের শাখা-প্রশাখায়!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন