রঙ ও প্রণয় সংখ্যা:
রক্তিম যুবতি পলাশের দোহন
সৌরভের শিখায় দগ্ধ প্রণয় সখা
রংমিলান্তি সোহাগে সজনী ফাগুন
ঈশ্বরী তোমাকে বলছি
পল্লব রায়
শীতের খাদ্য সঞ্চয়ে যেমন পিপীলিকারা
দানা খুঁটে খুঁটে ঠোঁটে করে টেনে নিয়ে যায় গর্তের ভেতর
তেমনি এই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা আমাকেও টেনে নাও
তোমার বুকের ভেতর
তোমার সত্ত্বার ভেতর!
সহস্র কোটি শতাব্দীর দীর্ঘশ্বাস বুকে নিয়ে
ক্ষয়িষ্ণু সূর্যের আলোয় গতর ভিজিয়ে;
বয়সীনি হতে হতে যে মাটির দুগ্ধশূন্য স্তন,
তাকে দুগ্ধবতী করো প্রেমে
তাকে দুগ্ধবতী করো আলিঙ্গনে!
এই ছড়ানো ছিটানো আমাকেও টেনে নাও
তোমার বুকের ভেতর
তোমার সত্ত্বার ভেতর !
অন্ধকার আমাকে দুহাতে জাপটে ধরে টানছে
আমার পায়ের তলা থেকে মাটি কেড়ে নিচ্ছে কৃষ্ণগহ্বর!
স্বপ্নহীন, ভালোবাসাহীন এই মৃত্যুর উদ্যানে
বিভেদের তারকাঁটায় বিষণ্ন তেলকুচা লতার মতো
নিরাপত্তাহীন বেঁচে থাকতে থাকতে
আমাদের অপেক্ষা বাড়ছে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার
মানুষের অপেক্ষা বাড়ছে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার!
যদি ভালোবাসো নারী!
যদি ভালোবাসো ঈশ্বরী!
বিষাক্ত সাপের মাথার মণির মতো চকচকে মানুষের শিশ্নের ডগায়
রোপন করে দাও দৈবিক সভ্যতা!
তোমার হাতেই রচনা হোক নতুন পৃথিবীর কৃষি
তুমুল আদরে মুছে দাও মানুষের ঘামে ভেজা, মানুষের রক্তে ভেজা
বিধাতার জীর্ণ কপাল!
যদি মানুষ ভালোবাসো ঈশ্বরী , ,
যদি ভালোবাসো আমাকে, ,
এই ছড়ানো ছিটানো আমাকে টেনে নাও
তোমার বুকের ভেতর
তোমার সত্ত্বার ভেতর !
প্রত্যয়ে জ্বেলে দাও ব্যাথার কাজল
নবজাতকের স্বপ্নের কালি দিয়ে লেখা হোক আগামীর ভাগ্য !
যদি আমাকে ভালোবাসো, ,
যদি আকাশ ভালোবাসো ঈশ্বরী!
খুলে দাও হৃদয়ের যত জানালা,
সংশয় ভুলে যাও প্রেমে, খুলে দাও শরীরের যত ভাঁজ
হাওয়ায় উড়িয়ে দাও বন্দী আঁচল
শ্রমের শিশিরে বাজুক সুখী মিলনের ওঙ্কার!
প্রাণের গহীন তলে লুকানো আঁধার যতো,
যতো বিচ্ছেদের বাজেয়াপ্ত নকশাপত্র
প্রেমের আগুনে পুড়ে হোক ছারখার!
আমার প্রতিটি চুম্বনে লিখে দিলাম তোমাকে ভালোবাসার অঙ্গীকার!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন