রঙ ও প্রণয় সংখ্যার ক্যাপশন,,,,,
রক্তিম যুবতি পলাশের দোহন
সৌরভের শিখায় দগ্ধ প্রণয় সখা
রংমিলান্তি সোহাগে সজনী ফাগুন
যদি বৃষ্টি নামে ডাক
অভিজিৎ দাসকর্মকার।
অভিনয় নেই প্রতিসৃত জলে
যদি আসমানি বৃষ্টি নামে ডাকো
পূর্ণগ্রাস গ্রহন ঘরে আদুরে লোকজন সাদা - আয়নমুক্ত হবে আজ
কোথাও মৃত্যু কাতরাচ্ছে ভ্যামপায়ারি জ্যোৎস্নায়
পাশের ঘরে মেঘ করেছে
দু-এক পশলা গোমেদ রঙের বৃষ্টি...
কিছুটা
জাফরানি রঙের বালি-গহ্বরে মালকোশি রাত
ক্ষিদে চুঁইয়ে পড়ে শিশির কণা হয়ে,
তবুও-
পায়ের নিচে জামদানি প্রতীক্ষা...
নীল, নাকি বিবর্তনে নীলচে অবয়ব?
স্বপ্নছায়া
অভিজিৎ দাসকর্মকার
কতটা ঘুমের পরও
আদুরে শিবরঞ্জনী লেগে থাকে চাদরের গায়ে
অসংখ্য স্বপ্নছায়ায় পোড়ে বসন্ত-
আমার পিঠে কালচে আঁচড়
আর
ঘামে ধূসর রং ধরেছে
পরদেশি মেঘ দাঁড়িয়ে মেহগনি রাস্তায়
কতটা দূরত্বের পর জাফরানি শব্দেরা
সেতু বাঁধে
তা তো লিখিনি!
অনেক বছরের সাধনায়
আজকের দিনটিও বাহারিরঙের নয়নতারা নামে ডাকে শূন্যাঙ্ককে-
শূন্য লেখা কোল বালিশে লালচে চাঁদের আলো
ডাকাতি রাতে উপোসি ঠোঁট অসীমে চুমু খায়
তখনও
মিলনের অপেক্ষায় নদীপথ অববাহিকা জড়িয়ে ধরে, সেইখানে
মোহনায় মিশে যাওয়া নুড়িজল খোঁজে পলকা পালক...
লাল পল্লীর জোনাকি সকাল
অভিজিৎ দাসকর্মকার
কতটা কালির আঁচড়ে শরীরের সংযমে ধূসর সংকেত লাগে,
শাড়ির অস্থির ঘামজলে বাৎসল্য পায়-
বসন্ত ছায়া
উঁকি দেওয়া কপাটের ফাঁকে হৃদয়ের ক্ষয়াটে গন্ধ।
নরম কথার সমান সাদা জানালা
মুগ্ধতাও নজর এড়িয়ে ডান দুয়ারে শুয়ে আছে
স্বাধীনতা,
সেও টেরাকোটা রঙে সজীব এখনও...
ব্লাউজের ফাঁকে শালিকের সোঁতা কোল
জিরিয়ে নেয় দশটি আঙুলের
নীলচে সারাংশ।
ঘাসের লজ্জাস্পর্শে অন্ধকার মেতে চলেছে ঈর্ষার নীলে
অন্তর্বাস ছেঁড়ার খেলায়,সন্ধ্যাটি হলুদ...
প্রতিটি আজলায় শ্লীলতার খয়েরী
আত্মোক্তি।
সম্পর্কের সামনে ম্যাকমোহন হয়ে দাঁড়ায় লাল পল্লী
আর, জোনাকি সকাল।
অসাধারণ
উত্তরমুছুন