রঙ ও প্রণয় সংখ্যা:
রক্তিম যুবতি পলাশের দোহন----
সৌরভের শিখায় দগ্ধ প্রণয় সখা----
রংমিলান্তি সোহাগে সজনী ফাগুন ----
বাধক
উজান উপাধ্যায়
রাত্রির চতুর্থ রঙে মুড়ে গেছে প্রিয়ার বিছানা, বেশ কটি স্তরে ওর বিপর্যস্ত স্তন ও আঁচিলহীন দেওয়ালেরা ভেঙে পড়ে আছে। ঠোঁট থেকে ভ্রুভঙ্গী হয়ে টানেলের পিঠ চিরে অন্ধকার যেভাবে গড়িয়ে গেল, প্রিয়ার চিবুক তার কতটুকু খোঁজ রাখে !
রাত্রি গভীর হলে, চন্দ্রাহত বাদামী জঙ্গলে সুন্দরী তরুণীর মতো, দুরন্ত যুবতি নদী আসা দরকার-
নিশি কুহকের অসান্দ্র্য ডাকে ঢুকে পড়ে যদি! পাহাড়ের হাঁটু ছুঁয়ে অবলা বিধবার মতো, অসংযত খিদে চুরমার করে খুলে ফেলে বাইরের জামা, ভিজে অন্তর্বাস!
যদিও এখনই তাকে দেখা যাচ্ছে না।
মিষ্টি ঘামের সাথে আরও কত বিচিত্র ওষধি উপোষী পুরোহিতের তলপেটে ঘুরে ফিরে কামুক বিছের মতো ঝাঁপিয়েছে হলদেটে ছোপ পড়া দাঁতে।
প্রিয়াকে ঘুমোতে দেখে খুলে যায় রাত্রির রকমারি ভাঁজ, একটু কুচকুচে ঘন কালো রাত হলে, শয্যায় ক্রুশকাঠ রেখে আমাদের শিকারী হৃদয়, কখনও যে বিকল্প শৈশবের সাদামাটা ছাপ এনে বিছানার প্রতিটি কোণায় রুদ্ধশ্বাস সরীসৃপ-পরিত্রাণের স্বচ্ছতা বোনে। চাঁদটাও সুযোগের মাপমতো কালোবোরখায়-
এখন সকাল যদি তীক্ষ্ণ শয়তানী দাঁতে মৃতকল্প-নাবিকের পুনরুদ্ধার অভিযানে সেলাই কেটে কেটে অন্তর্বর্তী ছায়ার দেহছাল বার করে আনে-
রাত্রি উলঙ্গ হলে ঠিক কোন বিভেদ পর্দা জুড়ে দিবানিশি সংগমের বাঁশিধ্বনি ওঠে-
একটি নদীকে ছাড়া সে উত্তর খোঁজা অর্থহীন।
অপেক্ষাই বরং আরও কিছু মুহূর্ত জুড়ে অবলোহিত বলয়ে ছুরিকাঁচি চালাতে থাকুক-
বিপরীতে নীল ঘোড়া আর অতিবেগুনি পাহাড়ের মুদ্রাবিহঙ্গেরা অনুবন্ধী লড়াকু স্টপার।
ভরসা রাখতেই হবে।
নদী আসবেই-
প্রথম নারীটির জন্মদিনেই পৃথিবীর প্রথম কবিতাটিও জন্ম নিয়েছিল। এ প্রত্যয়ে নদীদের দায়বদ্ধ থাকা সুনিশ্চিত।
রক্তিম যুবতি পলাশের দোহন----
সৌরভের শিখায় দগ্ধ প্রণয় সখা----
রংমিলান্তি সোহাগে সজনী ফাগুন ----
বাধক
উজান উপাধ্যায়
রাত্রির চতুর্থ রঙে মুড়ে গেছে প্রিয়ার বিছানা, বেশ কটি স্তরে ওর বিপর্যস্ত স্তন ও আঁচিলহীন দেওয়ালেরা ভেঙে পড়ে আছে। ঠোঁট থেকে ভ্রুভঙ্গী হয়ে টানেলের পিঠ চিরে অন্ধকার যেভাবে গড়িয়ে গেল, প্রিয়ার চিবুক তার কতটুকু খোঁজ রাখে !
রাত্রি গভীর হলে, চন্দ্রাহত বাদামী জঙ্গলে সুন্দরী তরুণীর মতো, দুরন্ত যুবতি নদী আসা দরকার-
নিশি কুহকের অসান্দ্র্য ডাকে ঢুকে পড়ে যদি! পাহাড়ের হাঁটু ছুঁয়ে অবলা বিধবার মতো, অসংযত খিদে চুরমার করে খুলে ফেলে বাইরের জামা, ভিজে অন্তর্বাস!
যদিও এখনই তাকে দেখা যাচ্ছে না।
মিষ্টি ঘামের সাথে আরও কত বিচিত্র ওষধি উপোষী পুরোহিতের তলপেটে ঘুরে ফিরে কামুক বিছের মতো ঝাঁপিয়েছে হলদেটে ছোপ পড়া দাঁতে।
প্রিয়াকে ঘুমোতে দেখে খুলে যায় রাত্রির রকমারি ভাঁজ, একটু কুচকুচে ঘন কালো রাত হলে, শয্যায় ক্রুশকাঠ রেখে আমাদের শিকারী হৃদয়, কখনও যে বিকল্প শৈশবের সাদামাটা ছাপ এনে বিছানার প্রতিটি কোণায় রুদ্ধশ্বাস সরীসৃপ-পরিত্রাণের স্বচ্ছতা বোনে। চাঁদটাও সুযোগের মাপমতো কালোবোরখায়-
এখন সকাল যদি তীক্ষ্ণ শয়তানী দাঁতে মৃতকল্প-নাবিকের পুনরুদ্ধার অভিযানে সেলাই কেটে কেটে অন্তর্বর্তী ছায়ার দেহছাল বার করে আনে-
রাত্রি উলঙ্গ হলে ঠিক কোন বিভেদ পর্দা জুড়ে দিবানিশি সংগমের বাঁশিধ্বনি ওঠে-
একটি নদীকে ছাড়া সে উত্তর খোঁজা অর্থহীন।
অপেক্ষাই বরং আরও কিছু মুহূর্ত জুড়ে অবলোহিত বলয়ে ছুরিকাঁচি চালাতে থাকুক-
বিপরীতে নীল ঘোড়া আর অতিবেগুনি পাহাড়ের মুদ্রাবিহঙ্গেরা অনুবন্ধী লড়াকু স্টপার।
ভরসা রাখতেই হবে।
নদী আসবেই-
প্রথম নারীটির জন্মদিনেই পৃথিবীর প্রথম কবিতাটিও জন্ম নিয়েছিল। এ প্রত্যয়ে নদীদের দায়বদ্ধ থাকা সুনিশ্চিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন