রঙ ও প্রণয় সংখ্যা:
রক্তিম যুবতি পলাশের দোহন----
সৌরভের শিখায় দগ্ধ প্রণয় সখা----
রংমিলান্তি সোহাগে সজনী ফাগুন ----
নীল গ্রহের জ্বলন্ত আগুন
বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।।
এই প্রায়ান্ধকারে বুকে এসো মোর,
ওগো মোর প্রিয়া।
এক এক করে খুলে যাক সব অলংকার, পোশাক তোমার গা থেকে।
সামনে এসে দাঁড়াও, লজ্জায় নয়, লোভে নয়, প্ররোচনায় নয়।
স্বগৌরবে এসে দাঁড়াও আমার সামনে, সম্পূর্ণ নিরাভরণ হয়ে।
দেখতে থাকি তোমায়।
পা থেকে মাথা পর্যন্ত ভালোবাসার চাদরে মুড়ে দিয়ে দেখতে থাকি ওই আজানুলম্বিত কেশবতী কন্যেকে।
দেখছি, পূর্ণিমার রক্তিম আভা এসে পড়ছে তোমার গায়ে, আর সেই আভা মেখে একটু একটু করে পরিবর্তন হচ্ছে তোমার বর্ণ।
ক্রমশই তুমি পরিবর্তিত হতে হতে নীলপরীর রূপ পেয়েছো।
তুমি এখন মানবী নও, আমার নীলপরী।
তোমার ওই পীনোন্নত শৃঙ্গ দুটি অহরহ অর্জুনের গাণ্ডিবের মত নিক্ষেপ করছে কামশেল।
চোখ থেকে ঝরে পড়ছে
মোহ মায়া , আহ্বানের দুর্নিবার আকর্ষণ,
যোনি দেশ থেকে উষ্ণ প্রস্রবণ।
আর আমি?
আমি তোমাতে নিমজ্জিত হতে হতে সম্পূর্ণ ভাবে সুখসাগরে প্রবেশ করেছি।
তোমাকেও নিয়ে চলেছি এক অন্য জগতে।
সুখের আবেশে তরলীভূত এক বেহেশতের পরী যেন তুমি।
আমি এখন সম্পূর্ণ নতুন উষ্ণ এক সর্বগ্রাসী কামনার আগুনে পুড়তে পুড়তে, পোড়াতে পোড়াতে ভেসে যেতে যেতে মেতে উঠেছে সৃষ্টি সুখের উল্লাসে। নতুন উদ্যমে।
লাল নয়, নীল মঙ্গলে হয়তো।
সেই নীল আগুনে ঝাঁপ দিতে নয়, জ্বলতে ও জ্বালাতে ।
আমাদের এই মিলন কোনো গ্রহে নয়, তোমার আমার বানানো রেশম গুটিতে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন