মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০১৯

দ্বিতীয় ভাগ


বিদ্যাসাগর বলছি

অমলেন্দু বিশ্বাস


হে ধর্মাবতার,
কী এমন দোষ ছিল-----
যে আমার আবক্ষ মূর্তি
ভাঙল নির্মম হাতে।

# অনেক বছর ধরে যারা শুধু
অন্ধকুঠুরিতে বসে কাঁদছিল
তারা কোনদিন দেখেনি আলোকচ্ছটা

# বর্ণ-শব্দ-‌অক্ষরের দ্যুতি
তাদের চৈতন্যে আমি তমসাবিহীন
বর্ণদ্যুতি ছুঁয়ে দিতে চেয়েছি প্রান্তিকে।

# ও আমার প্রান্তজনের সখা,
নিরীহ প্রমীলাগণ, শিশুমন।
চেয়েছি ভাষার হাত ধরে
হেঁটে যেতে সবুজ সড়কে।

# হে ধর্মাবতার, আপনিই বলুন
বর্ণজ্ঞানদান করা তবে অপরাধ।
তবু মূর্খগুলো বর্ণহীন অন্ধকার
ছুঁড়ে মারছে বিদ্যার বিতানে ।

# এখন‌ও কী আপনি দুচোখ 'ধৃতরাষ্ট্র '-----
করে নিয়ে নিরুত্তর থেকে যাবেন।

# ঐ দেখুন গান্ধারী খুলছে
তার অনালোক কাপড়ের চক্ষুবন্ধন।.......

# আপনিও পর্দা সরিয়ে
দেখে নিন একবার :
বর্ণমালা কীভাবে ভাষার উদ্যানে
অমল রোদ্দুর হয়ে
খেলছে শিশুর মতন।.......

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন