ঈশোপনিষদ
(আমন্ত্রিত কলম)
সুধীর দত্ত
কীই-বা করবার আছে যখন চোরের মায়ের গলা বড়ো,
কীই-বা কররার আছে যখন ঈশ্বরচন্দ্রের ধড় থেকে
আলাদা করা হয় মাথা
মন্দার বাজারে যাতে চড়চড় টি আর পি বাড়ে।
গড় করি মাগো ঠনঠনে,
তোমাকে নোলক দেবো, পায়ে মল,বাজুবন্ধ
কোমরে, দু'গাছা চুড়ি হাতে,
চড়কা পড়বার আগে যেরকম চিড়িক-কাটা আলো
দু'চোখ ধাঁধিয়ে দ্যায়, তেমনটি না হয় যেন--- দশ চক্রে ভূত
ভগবানকে হত্যা ক'রে আমাদেরও এক একটি তোতা
বানায় সে-জাদুকলে, পাতে পাতে পেড়ে দ্যায় হলুদ ব্যঞ্জন।
আর আমরা গো-গ্রাসে গিলি, চক্ষে দেখি সরষে ইব চারদিক হলুদ।
ভাগ্যিস বর্ণ-পরিচয়ের আলোয়
অন্ধরাও দেখেছিল পথ ;
দোবাঁকির সুড়ি খাল, বন-বাদাড় মাড়িয়ে ঠাকুর
এসেছিলেন ঈশ্বরের কাছে !
কে কনিষ্ক করল তাঁকে , কোন ব্যাপারী সওদা করে মুণ্ডহীন ধড়টুকু নিয়ে
কীইবা যায় আসে তাঁর ! তিনিই প্রথম
গীর্জা ও মন্দির ভেঙে
জ্যান্ত ঈশ-উপনিষদ হলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন