রবিবার, ৭ জুলাই, ২০১৯

সম্পাদকীয়,,,, সুপ্রীতি বর্মন



সম্পাদকীয়,,,,

সোহাগ আগুনে প্রণয়িনী ফাগুন,,,,

সুপ্রীতি বর্মন,,,,

কৃতজ্ঞতা ঋণ,,, ছবিসংগ্রহশালা,,,
রঙ্গ রসিয়া,,,,চলচ্চিত্র,,,,
ইন্টারনেট,,,,


নিকষ কালোরাত্রি গেরস্থালীর ভাঙা চৌকাঠে ঠেস শ্যামবর্ণা কৃষ্ণ বিরহিনী রাই
মনে অপার জলধির লাগামছাড়া উদ্বিগ্নতার আছড়ে পড়া স্রোত,,, এখন যেন কোন রঙিল চান্দ্রমাস,,,
অমায়িক স্নেহরসে সিক্ত প্রিয়শশী,,,,,

অসহনীয় প্রতীক্ষায় অসমাপ্ত শৌচে নাইতে নামা
যেন কোন হরিদ্রাভ গৌরবর্ণ অঙ্গ পুড়ে ছারখার জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি,,,
প্রোথিত কোন ক্ষুধিত পাষাণ মৌন দেওয়াল প্রস্তরে কোনারকের প্রতিমা,,,
অচ্ছুৎ কালঘামে আটক প্রণয়ক্ষুধায় ঈশ্বরী,,,,

ফেলে আসা শুমসান রাজপথে কানহার সেই মোক্ষম রক্তিম চুমুর বুভুক্ষু ঘ্রাণ,,,
করতে চাইছে আড়ালে তাকে পাগলপারা,,,
ইতিউতি চেয়ে অবিচ্ছেদ্য বিরহে
পুষ্করিণী শূন্য শ্যাওলা মাখা অন্ধরমণীর কালরাত্রি,,,
আবক্ষ বিষাদে যখন তন্বীর নৌকাডুবি,,, আগন্তুক অতিথি পানকৌড়ি,,,
 চাতক চাহনিতে মাথাচাড়া স্পর্ধা,,,
সোহাগ আঙিনায় রঙের মাদকতায়
লেগেছে যেন নৈশিল রঙীন রাত্রিবাস,,,,
রতির রংমশালে তখন লেগেছে নিজের অজান্তে,,,,
পাংশুটে রুগ্ন ছায়া প্রেমিকের হলদেটে লন্ঠনের আঁচ,,
আলপথে তণ্বী কামাগ্নি আবক্ষ বিষাদে জ্বলন্ত কর্পূর,,,দাউ দাউ আলিঙ্গন,,,,
 উদ্বায়ী আজ কালরাত্রির প্রণয় ভ্রমর,,,



অন্ধকার প্রেক্ষাগৃহের মাৎসর্যের স্পর্শ কাতরতায় হঠাৎ নগ্ন খাজুরাহোর শ্যামের মনমোহিনী বাঁশির আলাপ,,,,
অবিন্যস্ত শ্বাসে যোনি মুদ্রার অনিচ্ছুক কম্পনের উপসংহারে  
বিষেলা বাঁশির গহ্বরে রাখে প্রেমিক তার উদ্ধত তর্জনী ,,,,বিব্রতকর পরিস্থিতি।
তণ্বীর গৃহকোণের সীমারেখা উলঙ্ঘন উলুধ্বনির একাক্ষরে জমাট 
ভৌগলিক দূরত্বের নয়ছয় ছোঁয়াচে রক্তিমপলাশের যৌতুক সোহাগ।।
 অহরহ চোষে গোলাপী ওষ্ঠ রমণীর,,,, 
রূপালী ইছামতীর কাঁখে পুরুষালী নিষিক্ত চামড়ার আঘ্রাণে রেখেছে প্রেমিক তার হাত,,,
বাহুডোরে রোমশ আক্রোশে অনভ্যাস কংকনার তখন জ্যোৎস্নায় ভেজা চাঁদ খোঁজা,,,,,
চিরহরিৎ লাউডগা লতার আড়িমাড়ি ফাঁস জটে রঙের সমুদ্র, সৈকত এ হাপুচুপু নিঃশ্বাসের উর্ধ্ব গতি আঙুলের ডগায়,,,
 কল্কাকটি খাঁজ অলকার রঙে ডুবন্ত কোমর,,, 
দাহ্য চিটেল ফাঁদে আঁকড়ে তখন রাত্রিবাসের নিষিদ্ধ নিখাদ রঙ,,,,প্রণয় ক্ষুধা,,,, 
শুভ্র জ্যোৎস্না পুলকিত যামিনীম,,,  
লালায়িত প্রেমিকের ত্রিনেত্রের অনিক্ষিপ্ত শানিত দৃষ্টি,,,, 
নগ্ন সাগরের আতুরতায় পুনর্জন্ম কামশাস্ত্র



দামাল পুরুষত্বের চুম্বন আখমিচালি প্রিয়ার,,, 
যেন কোন ছেলেখেলা ধরাছোঁয়ার বাইরে,,,,
 কামনার জ্বরে স্তনবৃন্ত এ মাথাচারা স্পর্ধায় অজগরের দুঃসাহসী বেহায়া লেজের ঝাপট কৃষ্ণ গুহায় ,,,
কালিয়ানাগের মন্থনে দলিত মথিত উচ্ছ্বসিত ঢেউ,,,
 মদমত্ত মাতাল প্রেমিক বিষদগ্ধ,,, অমৃতচোষণ কন্ঠলগ্ন প্রেমিকার,,, স্তনদুগ্ধ,,, 
বাৎস্যায়ন,,,  
নারীনাভিতে পুরুষনাইকুন্ডের অবসাদ বিলীন দাহ্য মধুপ,,,,
কামুক রমনীরাত্রি তিলে সঞ্চয় পুরুষালী সংযোগ,,,

ইত্যবসরে শংখ-কুসুম-কাঁচুলী ভিজে সপসপ
যেন কোন অসংযত ক্ষিধেয় হতে লেগেছে চুরমার,,,,,
পদ্মনাভ যোনির লালিমায় অযাচিত সমর্পন
অকাল দুর্ভিক্ষ জরা সেঁধিয়ে উঁচুমাথার কালনাগ বিশল্যকরণী,,
কুচযুগ নিংড়ে রতিক্রিয়ার নৃত্যশৈলীতে মদহোশ প্রেমিকের কন্ঠলগ্না ঊর্বশীর 
তন্দ্রায়িত ক্লান্তি,,,, 
পুনঃজারন ক্রিয়ার উত্তেজক স্পৃহা বাড়াতে
প্রেমিকের স্পর্ধা ক্ষরণ,,,



কায়াপলটে এখন হতে চায় কোন উদোম উপোষী চন্দ্রাহত কামুক বিছে,,প্রিয়ার তলপেটে ঝাঁপিয়েছে,,,
 প্রখর দংশনে আনতে চায় যৌনক্ষুধার গলাধঃকরণ,,,উলঙ্গ রাত্রি।
অপেক্ষা শেষে এখন তড়পানো ঈশ্বরীর প্রমোদবিলাসে অগাধ রঙীন সমুদ্র
তপ্ত নগ্নিকার সৈন্ধব লবন যোনি,,,
সোহাগী লাল শাড়ি এখন ক্ষুধাতুর 
তৈলাক্ত দেহচিত্রের শয়ানভূমি,,,,
 ক্ষুৎকাতর পিপাসায় অন্ধি-সন্ধি,,,  

সোহাগী লাল আঁচলের প্রচ্ছদে লুকানো অধর ও কায়া,,,
 আগুনরাঙা ঠোঁটে বিধ্বস্ত ঝড়ের কামড়াকামড়ি কামাগ্নি শলাকার প্রবেশ গর্ভগৃহে,,,, 
ঝিমধরা আলস্যে যখন মগ্নচৈতন্যে ঝুঁকে শীষ
তখন জোরালো পুরুষপ্রতিম থাবায় থাবড়ানো সফেদ ঊরুতে লেগেছে 
অস্থিরতার কাঁপন,,,, 
পিচ্ছিলতায় জমাট বেপোরোয়া প্রেমীর কাম‌উদ্গিরণ স্পৃহা
 পুনঃপুনঃ লিঙ্গবর্ধক চাহিদার শিকড়ের মন্থন লালসা খোঁজে জলাজঙ্গম,,,
যেন কোন ক্ষুধাতুর বন্য‌আদিমতা,,,
জঙ্ঘাদেশ ছাদের আলসেতে শুকানো বীর্যবীজ পরম আলস্যে,,,  
জঙ্ঘা অশ্বে আরোহন,,, আমার রাজন,,, 
সাহসী সদর্পে মন্থন ঘোরে শিরশিরানি,,, 
লালা উদগীরণ মুখে হ্রেষা ধ্বনি,,,, 
পুরুষালী অহম তেজ,,,,সৌরপ্রাংশু,,,  
আবার যেন এক তন্দ্রায়িত রূপসী কন্যের হিমশৈলকেশে জমাট ক্লান্তি,,,
পুরুষালী ঔরসে শীতঘুম,,,




ঋজু পৌরুষের রূপান্তরিত বশীকরণে 
জাহ্নবী হয়ে ওঠে কখন তড়পানো যুবতি মৎসিনী,,,,
উচ্ছ্বসিত অলকানন্দার জলে,,,
গর্ভিণী ঈশ্বরী মৃত্তিকা আঁকড়ে দৃঢ় চোয়ালের গা ঘেঁষটে সংযমহীনতা অক্লেশে ছাড়তে বাধ্য হয়ে ওঠে,,,,,
অমোঘ গোঙানো হিলহিলে ঢ্যামনা সাপের অবাধ্য গোঁত মারণের শীৎকারে,,,
উর্বরা গর্ভিণীর মৃৎকায়ার নির্মাণ  স্বয়ংক্রিয় শিল্পীর রঙের মূর্চ্ছণায় আনতে লেগেছে সফেদ বীর্যরসের ফেনিল ঢেউ,,,,

 মৎস্যজীবীর বড়শি মোহগ্রস্ত ছিপ,,,
 কেবলি প্রিয়ার নাতিদীর্ঘ নাভিতে ঘাইমারা মৎস্যে,,,আনতে চায় ক্ষুধার্ত আলোড়ন,,, 

 তুমি তো কেবলি মাছরাঙা মৎস্য শিকারী,,,,
প্রিয়ার কপোলের সৈকতে তখন জমতে লেগেছে 
সোহাগ সঙ্গমের অহর্নিশ ক্লান্তিঘাম
নাইকুন্ডে আটক প্রেমীর উঠা-নামা নাভিশ্বাস,,,


 ক্ষয়াক্ষয়ি নীলচে বিপর্যস্ত স্তনে মেয়েলি ধামসায় পুরুষালী মাদলের বোল
ধর্ষনের দুর্বোধ্য লাঙলের গা ঘেঁষে
 বিবস্ত্র রতিক্লান্ত যাপন ক্ষুধায় শঙ্খলাগা ,,, 
মণিকান্ত ঠোঁটের ঔদ্ধত্য চুম্বনে ,,,
 বিষাক্ত ফণীশয্যায় নিঃসঙ্গ যাপন বিষ শোষণ,,,, 
প্রেমিকের ঋণ
রাইয়ের শাপমোচন।


৩টি মন্তব্য:

  1. পৌরাণিক ভাষায় এ প্রেম চিরন্তন । রাইয়ের সাপমোচন হয়ে যায় কবির কলমে -

    উত্তরমুছুন
  2. সাহসী শব্দব্রক্ষ্মে বারুদমাখা কল্পনার ঘোড়া যেন রাইকিশোরীর প্রতিটি বাক্যবন্ধনী। কাঁচুলির রঙে কেঁপে ওঠে উপমা আর দৃশ্যের রথ। উৎপ্রেক্ষার সাঁকো থেকে জলের ছায়ামেখে রঙিন কাব্যগাঁথা। কামকে প্রেমে আর প্রেমকে ঘামে জমিয়ে দেওয়ার দারুণ কব্জি তোমার। জয় ললিতাপাখি জয়।

    উত্তরমুছুন
  3. জানি একটি স্ফুলিঙ্গে জ্বলে যেতে পারি তুমি আমি। চরিত্র খোলসটা তবে যাক না খসে। প্রেম কি ? যদি জ্বালা নেই তাতে ? কলঙ্ক ধরে নিতে গিয়ে অবাধে টেনে আনি তোমার মৈথুন। ঘৃণায় নয়, চুমুকে ভরিয়ে দাও সমস্ত নৈবেদ্য সুখ। সুপ্রীতি, তোমার সুন্দর লেখা পড়লাম। পড়ে আমারই কেমন যেন ভাব ভঙ্গ হয়ে যাচ্ছে !

    উত্তরমুছুন