মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৯

জাহ্নবীর পুণ্যতোয়া স্রোত


5. মাশকারা,,,,

জাহ্নবীর পুণ্যতোয়া স্রোত,,,,,

সুপ্রীতি বর্মন

পুণ্যতোয়া প্রসবিনী গঙ্গা দূরে দাঁড়িয়ে তোমার এক পাড়ে,,,,
অবাক হয়ে দেখছিলাম তোমার শ্রীময়ী রূপ,,,,

কিন্তু মনে উঠছিল অনবরত সোহাগের উচ্ছ্বাস নয় অনাসক্তির প্রবল ঢেউ,,,,

তখন সিঁড়ি ভেঙে অজ্ঞাতবাসে থাকা অশ্রুজলে ভেসে যাওয়া সিঁথি নিয়ে স্ত্রী আচারে,,,
 আর ডুব দিতে পারিনি প্রখর অক্ষমতার শোকে মুহ্যমান অস্তিত্ব,,,,

হয়ত মগ্নচৈতন্যে আশঙ্কায় প্রহর গুনে ভেবেছিলাম যে
 তোমার বাহন অহংকারী কুমীর ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রখর আক্রোশের করালগ্রাসে হরণ করে নেবে আমার অন্তরাত্মা,,,,
আমার সত্য,,, আমার আজন্মলালিত শোক,,, আমার অশ্রু,,,,
আর তারপর পাপ পুণ্যের দাঁড়িপাল্লার সাম্যতার  সূচকে আমাকে বসিয়ে দেবে
আর আমি স্থির হবার গৌরচন্দ্রিকার ভানে টলমল করতে থাকবো,,,,

ওদিকে এসব সাতপাঁচের মধ্যে ঘটে যায় এক কান্ড চিত্ত আকর্ষনীয়,,,
তোমার ঐ পাড় থেকে ভেসে আসে আমার সোহাগের ডাক,,,
বলে কেমন আছো আর তুমি এখন কোথায় আছো,,,
কখন ফিরবে বলো,,,
 তখন যেন বিমূর্ষ আত্মচেতনা যেটা বিষাদে একদিন দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া একটা হাড়কঙ্কাল ছিল এতদিন ধরে,,,
হঠাৎ তোমার গলা একবার শুনতে পেয়ে সম্বিৎ ফিরে পায়,,,
 আর পাপ পুণ্যের পুন্ডরীকাক্ষং স্তুতিমন্ত্র যাপন তাকে তুলে রেখে
 আরো একবার তোমার সোহাগ সমুদ্রের জারিত মৈথুন স্রোতে
 ডুব দিয়ে নব কলেবরে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত শ্রেয়সী হয়ে উঠতে চায় নতুন করে,,,



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন