শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

অপ্রচলিত সোঁদা মাটির গন্ধ,,,, শুভঙ্কর দাস


প্রেমচন্দের ঈশ্বর

শুভঙ্কর দাস


মনের মাঠে ফেলে আসা লাঙল, বীজধান, গামছায় বাঁধা মিয়ানো মুড়ি আর দিগন্তের বুক
চিরে নেমে আসা বৃষ্টির ছাঁট মিশিয়ে কালো কালো অক্ষর
জন্মজয়ের ধান হয়ে ওঠে।
স্বর্গলাভ তারাই করুক, যাদের জীবন মাটিতে নরক‌। পয়সার গরম তারাই দেখাক,
যাদের শরীর সাপের মতো ঠান্ডা, ভোগের বাটি তারাই পূর্ণ করুক, যাদের মৃত্যুভয় ষোলোআনা।
এইমাত্র উপেন গলায় দড়ি না দিয়ে রাজপথে এসে দাঁড়িয়ে, অজগরের ওপর সে মাইলের পর মাইল আম্রবৃক্ষ নিজের রক্তে রোপণ করে যাবে।
এইমাত্র গফুর গরুগুলোকে সেই মহাভারতীয় রাখালের মাঠে চরিয়ে এনে, দুধ দুয়েছে গামলায়,
অনাথ হিন্দুর সন্তানদের খাওয়াবে নামাজের আগে।
এইমাত্র অপূর্ব আর ইসমাইল ঘরে ফিরেছে পথের পাঁচালীর রাস্তা বদলে দেবে বলে,যাতে
দুর্গা বা ফতেমার সামান্য জ্বরে শেষ নিঃশ্বাস না ফেলতে হয়!
এবার এগিয়ে এসো মাটির এতো কাছে, দেখতে পাবে, শরৎচন্দ্রের পাশে বসে প্রেমচন্দ
ঈশ্বর গড়া শিখছেন
ঈশ্বরের ধুলো ও কাদা মেখে।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন