দিগন্ত, তোমার স্নানের ঘরে যা লেখা নেই
শুভঙ্কর দাস
নিজেকে মেঘের মতো দূত করতে পারি না, হাতের কোন রেখায় গোপন করিনি আরব্যরজনীয় ইচ্ছাপূরণ, অলৌকিক রঙে আঁকতে পারিনি রামকিঙ্কর বা পিকাসোর কোন রমণীয় নারীমূর্তি
শুধু জলের কাছে নিয়েছি শরণ
নীল আকাশ জুড়ে তোমার স্নানাগার, এখন তো বর্ষাকাল নয়
দু'চোখে দেখি শাওন-ঝারি
তোমার শিউলিস্নিগ্ধ নরম মোমবাহু বেয়ে নামতেই থাকে
ফসল ফলানো হাওয়ার উত্তাপ, মাটিতে পড়েই জলরঙা মার্বেল হয়ে
অবিরাম লাফাতে থাকে
আমার প্রথমবার প্রেমপ্রস্তাবক কম্পনের ওপর!
সারা শরীরে এঁকে নিয়েছি চোখ, ধানের মতো, পানের মতো অথবা
সেই নৌকার মতো যার কোন নোঙরের ভয় নেই
তুমি জলবিন্দুতে মালা রচনা করে স্নান করো, করতেই থাকো
অথচ সে বাসন্তিক চোখ তোমার চোখে পড়ে না!
পড়ে না বলেই, যখন জলছাপ পায়ে বেরোও আকাশের দরজা খুলে,
তোমার গৌরীগ্রীবায় তেচোখা মাছের গা-ঠিকরানো রোদের মতো জলবিন্দু
প্রতি পদক্ষেপে মরে যায়
ঠিক তখনি আশ্চর্য বিদ্যুৎ-বিষাদে
তুমি আনমনা হও এক সর্বস্ব স্পর্শব্যাকুল গন্ধে
সাবানের নয়, তেলের নয়, তা সরল মুগ্ধতার
যা সহস্রস্নানের পরও তুমি জানতে পারবে না!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন