(কিশোরী প্রণয় ও রথযাত্রা )
প্রথম কবিতা
স্পর্শাতীত আশ্রয়ে পড়ে আছি আজ ও
অথচ কী দারুণ আগ্রহে
এই নিমতিতা গ্রহে
শুধু তোমাকে ছোঁবো বলে উনুন ভাঙিনি এখনো
পান খসে চাঁদ ভাঙে আদমসুমারী শেষে
বর্ণমালা ছানে
শরীরী শ্লোকে তখনো মুহ্যমান
অযোনিসম্ভবা
সারারাত খুঁজে মরে অন্ধ জোনাক
দ্বিতীয় কবিতা,,,
তোমার প্রণয়সাজ অহল্যাদর্পণ ধুলায় লুটায়
আমি অন্ধকার হতে গাঢ় কোন
অববাহিকায়
হেঁটে যাই
অপুষ্ট নক্ষত্রের খোঁজে
হে আরিত্রিকা আমায় যূথবদ্ধ করো
খুলে ফেলো কেশদাম
স্তন্যবৃন্ত দাও মুখে
যোনিদ্বারে দাও অবাধ অধিকার
নিগূঢ় রহস্যে রেখো না নিজেকে
বিদায়বাদ্য নয় বিসর্জিত অক্ষর সাজে
আজ সাজাবো তোমাকে শেষ অহংকারে
তৃতীয় কবিতা
যা জানার নয় তাও কী জেনেছিলাম
অনিবার্য কৌতুহলে
জ্যোৎস্নায় কুয়োতলায় পরীদের স্নান দেখে
বেপথু হয়েছি বারবার
ঋতুমতী মেঘের শরীরে
বজ্রের বলাৎকার দেখে বেহায়া বোষ্টুমীকে ডেকেছি ভাঙা মন্দিরে
যা হবার নয় তাও হয়েছি ঘুঘুডাকা দুপুরে
ছেনালি বৃষ্টি ছেনেছি দু'হাতে
এ প্রৌঢ় পোয়াতী মেঘের সম্ভাবনায় ভাসে আজ ও
চতুর্থ কবিতা
প্রহরের পঙক্তিতে পঙক্তিতে ব্যর্থ রেতঃপাত
সময়ের কাছে আছে সেই সমাচার
বয়ঃসন্ধির কোন নিষিদ্ধ পটভূমি নেই
রহস্যের স্রোতধারা,উদাসীন নদী
প্রমোদে প্রমাদে কত কবিতার জন্ম হয়
স্বপ্নের সুড়ঙ্গে পথে কোন প্রতিরক্ষা নেই
অন্তর্বাসে শুধু ছায়াচিত্র আঁকে,সমুদ্র স্নানের
ও'ই ওম মেখে নিয়ে সমস্ত শরীরে
অসৈরন বৃষ্টি দেখে বালক বালিকা
ভাসবে নাকি,ভেজায় যদি ইচ্ছে সকল
গোপন অঙ্গে মাখামাখি,শিহরণ
কুয়াশার পান্ডুলিপি,বুকের বকুল ফুল
শ্যাওলা পেরিয়ে ভাসে সন্ধ্যাসায়রে
আটপৌরে সংসারে সে এক অলৌকিক স্পর্শকাতরতা
বিপন্ন মেঘের জলে
অজান্তেই ভিজে যায়,ভিজিয়ে দিয়ে চলে যায়
নিষিদ্ধ নগ্নতা তখনো সাবালক নয়
পঞ্চম কবিতা
তুমি তোমার ডান স্তনে মুখ রাখতে ডেকেছিলে
সুডৌল বাঁ স্তনে হাত বাড়াতেই
তুমি সরে গিয়ে
ওটা ঈশ্বরের জন্য
রোজ রাতে উনি আসেন
সেই থেকে আমি ঈশ্বর হবার প্রযত্নে
শশাক্ষেত পানাকেশে আচ্ছন্ন জলাশয় উন্মুখ পর্বতমালা
আর সৈন্ধব লবণে খুঁজে ফিরছি সেই পরম প্রতারক কে
গ্যেটে দান্তে মার্কস ছেড়ে আমি ইবলিসকে বন্ধু মেনেছি আজ
ষষ্ঠ কবিতা
এবার আসি
কোলাহল তো অনেক হয়েছে
এখন মৃতভোজীদের উৎসব শুরু হবে
সমুদ্রসারল্যে হারিয়েছে সমস্ত আদ্যাক্ষর
তুমি বরং তোমার নতুন শিকারের সন্ধানে খুলে দাও তোমার বুকের আঁচল
সপ্তম
আলাপচারিতায় ছড়িয়ে রইলে তুমি
ঝরলে না
শিথিল সম্ভোগে খুললো না গুহামুখ
অপটু করতলে তখন উন্মুখ
জোড়া চাঁদ
আলুথালু আঁচলের আড়ালেই রইলে
আকাশ কী লুপ্ত হবে আজ
হিম পড়বে না আর
পাখিরা ভুলেছে উড়ান
শোকার্ত মাছেরা উৎসমুখ খোঁজে
জোনাক জ্যোৎস্নায়
সন্তাপ নয় আরো একটু উত্তাপ দাও
অষ্টম
খড়ের বাঁধনের সকল কর্কশতা
মুছে গিয়ে
মূর্তিকরের পেলব লেহনে ফুটে উঠছে সেই
ভরভরন্ত স্তন নাভিবর্ত
নিতম্ব
লন্ঠনের আলোয় তখন দোচালার নীচে অন্য
দৃশ্যপট
পিছনে দাঁড়িয়ে তখন বৌঠান
ছলছল চোখে আগলে রাখছে নিজেকে
অকালবোধনে দুধে নুয়ে আছে সে নাবাল ক্ষেত
চক্ষুদানের সময় তাকেইতো ডেকেছে আজ
শিউলি ঝরে পড়ছে সমস্ত উঠোন জুড়ে রাতভোর
নবম
সিঁথির শৈথিল্যে হারাই হাজার উঠোনে
তুমিতো সম্পূর্ণ নয়
কী দেবে আমায়
কিছু বিহ্বলতা শঙ্খনাদ ত্বকের গঠন
যোজনায় আশ্চর্য আহ্লাদ
উদ্বেল মুহূর্তের প্রান্তিক আশ্রয়
ডেকে ওঠা সঙ্গমের অনুচ্চার ছড়
প্রলম্বিত পৌরুষের শেষ আচ্ছাদন নগ্নজোছনায়
বারদুয়ারির পথতো তুমিই চিনিয়েছ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন